নিউইয়র্কে শেষ হলো মোস্তাফিজুরের আলোকচিত্র প্রদর্শনী

নিউইয়র্কে শেষ হয়েছে আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলাদেশি আলোকচিত্রী মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘ইকোস অব পিস’। আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় জ্যামাইকার হিলসাইড এভিনিউর পিস সেন্টারের সেইভ দ্য পিপল অডিটোরিয়ামে।
প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের প্রকৃতি, সংস্কৃতি, গ্রামীণ জীবন, মানুষের সংগ্রাম এবং ধর্মীয় সহাবস্থানের চল্লিশটি আলোকচিত্র স্থান পায়। শান্তি ও মানবিকতার বার্তা বহনকারী এসব ছবি দর্শকদের গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে।
শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইউএন ইন্টারফেইথ লিডার ও হেইওয়া পিস অ্যান্ড রিকন্সিলিয়েশন ফাউন্ডেশন অব নিউইয়র্ক–এর প্রেসিডেন্ট ড. তোশিকাজু কেনজিত্সু নাকাগাকি। তিনি বলেন, ‘প্রদর্শনীর ছবিগুলো শুধু নান্দনিকতার জন্য নয়, বরং শান্তি, মানবিকতা ও সম্প্রীতির শক্তিশালী বার্তা বহন করেছে।’
আরও পড়ুন
শ্রী চিন্ময় সেন্টার, নিউইয়র্কের পরিচালক ড. মহাতপা পালিত বলেন, ‘পৃথিবীতে অশান্তির মূল কারণ বিভাজন। অথচ আমরা সবাই একই পৃথিবীর সন্তান। তাই একত্র হওয়াই আমাদের প্রধান দায়িত্ব। এই প্রদর্শনীর ছবিগুলো সেই একত্র হওয়ার আহ্বান জানায়।’
এছাড়া আরও বক্তব্য দেন জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ রিচিকে লিপিকৌইজ, তথ্যচিত্র নির্মাতা ও শান্তি কর্মী দিমা নেফারতিতি, সংবাদ উপস্থাপক সাদিয়া খন্দকার, আলোকচিত্রী ও গবেষক ড. ওবায়দুল্লাহ মামুন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব তাহরিনা পারভির প্রীতি, আলোকচিত্রী সাজিদ হোসেন এবং আলোকচিত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের সহধর্মিনী কাজী জেবুন নাহার।
সবশেষে আলোকচিত্রী মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান প্রদর্শনী আয়োজনের জন্য নিউইয়র্কভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সেভ দ্য পিপল, ইউনাইটেড ন্যাশনস অ্যাসোসিয়েশন অব ইউএসএ–কুইন্স চ্যাপ্টার, পিস সেন্টার অব ইউএসএ এবং ইন্টারফেইথ সেন্টার অব ইউএসএ–এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রদর্শনীর শেষ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশাপাশি নিউইয়র্কের আলোকচিত্রী ও শিল্পপ্রেমীদের মিলনমেলায় রূপ নেয় অনুষ্ঠানস্থল। সমাপনী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সেভ দ্য পিপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
আয়োজক ও অতিথিরা আশা প্রকাশ করেন, ‘ইকোস অব পিস’ প্রদর্শনী আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরবে এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এমআইকে