কঙ্গনার বিরুদ্ধে হৃত্বিকের মামলার ঘর বদল

বলিউডের অনেক তারকা এখন কঙ্গনা রনওয়াতকে এড়িয়ে চলেন। কারণ কঙ্গনা মানেই বিতর্ক। তাই তার সঙ্গে তর্কে জড়ানোর চেয়ে চুপ থাকাই ভালো। তবুও বলিউড অনেক তারকার সঙ্গে বিবাদ কঙ্গনার। এরমধ্যে ২০১৬ থেকে দ্বন্দ্ব শুরু হৃত্বিকের সঙ্গে।
‘কাইট’ সিনেমার পর ‘কৃষ-৩’ সিনেমা একসঙ্গে অভিনয় করেন হৃত্বিক ও কঙ্গনা। ‘কৃষ ৩’ থেকে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় তাদের। ২০১৪ সালে করণ জোহরের একটি পার্টি থেকে হৃত্বিক ও কঙ্গনার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। একই সময় নিজের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা নিয়েও ব্যস্ত ছিলেন হৃতিক।
হৃত্বিক ও কঙ্গনার সম্পর্ক নিয়ে কোনো আলোচনার তৈরি হয়নি। তাদের দ্বন্দ্ব থেকে সম্পর্কের বিষয়টি সামনে আসে। ২০১৬ সালে এক সাক্ষাৎকারে হৃত্বিককে ‘সিলি এক্স’ বলেন কঙ্গনা। ঘটনার সূত্রপাত সেখান থেকে।
কঙ্গনার বিরুদ্ধে মামলা করেন হৃত্বিক। অভিযোগ ২০১৩ ও ২০১৪ সালের মধ্যে কঙ্গনার ইমেল অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ১৪৩৯টি মেইল পাঠানো হয় হৃতিকের ইমেল আইডিতে। এভাবে হৃতিকের ওপর মানসিক চাপ তৈরির চেষ্টা হয়েছে বলে দাবি করেন হৃতিকের আইনজীবী।
অন্যদিকে কঙ্গনার আইনজীবী দাবি করেন, হৃতিকই কঙ্গনাকে ইমেল আইডি দিয়ে তাতে যোগাযোগ রাখতে বলেছিলেন। কঙ্গনা একা নন, সমান তালে মেইল করেছিলেন হৃতিকও। কিন্তু হ্যাক করে হৃতিক নিজের পাঠানো সব মেইল কঙ্গনার আইডি থেকে মুছে ফেলেন।
হৃতিকের দায়ের করা এই মামলার তদন্তভার এতদিন ছিল মুম্বাই পুলিশের সাইবার প্রতারণা শাখায়। এই মামলার তদন্তভার এবার নিল মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ। এতদিনেও তদন্ত সেভাবে কিছুই এগোয়নি বলে অভিযোগ হৃতিকের। মুম্বই পুলিশের কমিশনারকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানান হৃতিকের পক্ষের আইনজীবী মহেশ জেঠমলানি। এর পরেই মামলার ঘর বদলের এই নির্দেশ।