সনদ ছাড়া নিয়োগ, এবার বরখাস্ত হবেন সেই প্রকৌশলী?

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে (চসিক) সনদ ছাড়া নিয়োগ পেয়েছেন আমির আবদুল্লাহ খান নামের এক কর্মকর্তা। সংস্থাটির আইন কর্মকর্তার তদন্তে সনদ জালিয়াতির বিষয়টি উঠে এসেছে। যদিও নিয়োগের দীর্ঘদিন পর তিনি চসিকের অনুমতি ছাড়া বিশেষ প্রক্রিয়ায় পাস করে সনদ জোগাড় করেছেন। একই সঙ্গে সনদটি তিনি বেআইনি প্রক্রিয়ায় সার্ভিস ফাইলে যোগ করেছেন। এত বড় জালিয়াতি করেও তিনি চসিকের প্রকৌশল বিভাগে দাপটের সঙ্গে চাকরি করেছেন বছরের পর বছর।
ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ফের আমির আবদুল্লাহ খানের জালিয়াতির বিষয়টি সামনে আসে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে নিয়োগের সময় সার্টিফিকেটের পরিবর্তে তিনি একটি কোর্স কমপ্লিশনের কাগজ জমা দেন। এটিকে সনদ হিসেবে উল্লেখ করার মতো বড় ধরনের জালিয়াতি করেছেন।
সনদ জালিয়াতির পরও উচ্চশিক্ষিত প্রকৌশলীদের বাদ দিয়ে আমির আবদুল্লাহ খানকে সহকারী প্রকৌশলীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে (চলতি দায়িত্ব) বসায় চসিক কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন
জানা যায়, চসিকে বিদ্যুৎ শাখার সহকারী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হিসেবে কর্মরত আমির আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে সম্প্রতি একটি অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে জমা পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় আমির আবদুল্লাহ খানের জালিয়াতি তদন্ত করার জন্য চসিককে নির্দেশ দেয়। ৩ ডিসেম্বর আইন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত জেলা জজ) মহিউদ্দিন মুরাদকে প্রধান করে কমিটি গঠন করে চসিক।
কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন চসিকের শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার এবং সদস্য ছিলেন চসিকের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম। কার্যক্রম শেষে তারা প্রতিবেদন ২০২৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর জমা দেন। এরপর এটি চসিকেই পড়ে থাকে দীর্ঘদিন। কয়েকদিন পর প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে না পাঠানোর বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর তড়িঘড়ি করে ৭ জানুয়ারি প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
একটি কোর্স কমপ্লিট করার কাগজ দিয়ে ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল বাতি পরিদর্শক হিসেবে চসিকে যোগ দেন আমির আবদুল্লাহ। তিনি তখন নিজেকে ডিপ্লোমা পাস বলে উল্লেখ করেন। যদিও তখনও কাগজে-কলমে তিনি এসএসসি পাস। ২০০৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাতি পরিদর্শকের বেতনে উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ পান আমির আবদুল্লাহ। ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি আগের সব নিয়োগ বাতিল করে তাকে উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ দেয় চসিক। তখনও তার এসএসসির ওপরে আর সনদ ছিল না
চসিকের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, তদন্তকালে কমিটিকে প্রভাবিত করতে নানা ছলচাতুরী করেন অভিযুক্ত আমির আবদুল্লাহ খান। এর আগে ২০২১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তার জালিয়াতির অভিযোগটি একবার তদন্ত হয়। ওই প্রতিবেদনে তাকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়। ওই সময় অভিযোগটি তদন্ত করেছিলেন চসিকের তৎকালীন রাজস্ব কর্মকর্তা শাহিদা ফাতেমা চৌধুরী। তিনি সে সময় আমির আবদুল্লাহর সনদটি ঠিক আছে কি না, যাচাই করে প্রতিবেদন দেন। কিন্তু নিয়োগের সময় তার সনদ ছিল কি না, সেটি যাচাই না করে কৌশলে এড়িয়ে যান।
চসিকের বিদ্যুৎ বিভাগের এক প্রকৌশলী জানান, আমির আবদুল্লাহ তৎকালীন প্রকৌশল বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে পার পেয়েছিলেন। এবারও তিনি তদন্ত কমিটির দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছিলেন। আমির আবদুল্লাহ খান ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল ‘বাতি পরিদর্শক’ হিসেবে চসিকে নিয়োগ পান। কিন্তু তদন্ত কমিটি বরাবর লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি তিনি উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। নিজেকে বাঁচানোর জন্য পুনরায় জালিয়াতির আশ্রয় নেন তিনি। ওই তারিখেও যদি তার নিয়োগ হয়ে থাকে, তাহলে ওই দিন পর্যন্ত তার ডিপ্লোমা পাসের কোনো সনদ ছিল না।
তিনি আরও জানান, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমির আবদুল্লাহর কোনো কৌশল কাজে দেয়নি। সর্বশেষ তদন্ত কমিটি যখন প্রতিবেদন জমা দেয়, তখনও আমির আবদুল্লাহর হয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের এক সহকারী প্রকৌশলী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে এটি আটকে দেন। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয় ১৮ ডিসেম্বর। কিন্তু সেই প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে যায় ৭ জানুয়ারি। এত দিন এটি চসিকেই আটকে ছিল।
কী আছে চসিকের তদন্ত প্রতিবেদনে
তদন্ত কমিটি গত বছরের ৫ ডিসেম্বর সভা আহ্বান করে আমির আব্দুল্লাহ খানের মূল নথি তলবের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর তার ব্যক্তিগত নথিতে রক্ষিত নোটশিট, সর্বপ্রথম নিয়োগপত্র, যোগদানপত্র, অফিস আদেশ, যাবতীয় ডকুমেন্ট পর্যালোচনা করা হয়। কমিটির নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত আমির আবদুল্লাহ খান ৯ ডিসেম্বর কমিটির কাছে হাজির হন এবং লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য দেন।
ওই দিন তিনি ২০০৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর যোগদানের সময় যে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র দাখিল করেন তার মূল কপি এবং তদন্তের বিষয়ে প্রাসঙ্গিক অন্যান্য কাগজপত্র জমা দেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি তিনি উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ পান। ৮ ডিসেম্বর তদন্ত কমিটির কাছে হাজির হয়ে জানান, তার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আগেও একবার করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর সম্প্রতি পুনরায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কমিটির মৌখিক জিজ্ঞাসাবাদের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জানান, সর্বপ্রথম তিনি বাতি পরিদর্শক হিসেবে কাজ করেন। ২০০৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর তাকে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি তার পূর্বের নিয়োগকৃত পদ বাতিল করে তাকে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) শাখার প্রকৌশল বিভাগে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। তার দাখিলকৃত ১৯৯২-৯৩ সেশনের ২০১৬ সালের ১০ মার্চ তারিখের ইস্যুকৃত ডিপ্লোমা সনদের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনি ১৯৯২-৯৩ সেশনের ছাত্র ছিলেন। ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত পরীক্ষায় (জুন-জুলাই ১৯৯৭ সালে অনুষ্ঠিত) অকৃতকার্য হলেও দীর্ঘদিন পরে বিশেষ অনুমতি নিয়ে ২০১৪ সালে ডিপ্লোমা পরীক্ষা দিয়েছেন। এ পরীক্ষার পাসের সাময়িক সনদ ২০১৫ সালের ২৩ এপ্রিল তারিখে এবং মূল সনদ ২০১৬ সালের ১ মার্চ ইস্যু হয়। যোগদানের সময় তার দাখিল করা কোর্স কমপ্লিশন সার্টিফিকেটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ওই সময়ে অকৃতকার্য হয়েছিলেন বলে জানান।
আরও পড়ুন
নথি পর্যালোচনা করে প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, চসিকে বাতি পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন ২০০৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর আমির আব্দুল্লাহ খানকে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সিটি কর্পোরেশনে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে (স্ব-বেতনে) দায়িত্ব পালনের জন্য আবেদন করেছিলেন ২০০৯ সালের ৩ ডিসেম্বর। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, তিনি ১৯৯৭ সালে প্রকৌশল (বিদ্যুৎ) ডিপ্লোমা অর্জন করেছেন। তিনি চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কোর্স কমপ্লিশন সার্টিফিকেট দাখিল করেন। এটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তিনি তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করেছেন এবং ১৯৯৬ সালের চূড়ান্ত পরীক্ষায় (স্পেশাল) অংশগ্রহণ করেছেন, যা জুন-জুলাই ১৯৯৭ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নথি পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, গত ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি তারিখে নিয়োগ আদেশে আমির আব্দুল্লাহ খানের পূর্বের নিয়োগকৃত পদ বাতিলপূর্বক অস্থায়ী ভিত্তিতে বিভিন্ন শর্তারোপপূর্বক বিদ্যুৎ শাখার প্রকৌশল বিভাগে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। শর্তাবলিতে উল্লেখ আছে, যোগদানের সময় দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি, জাতীয়তা সনদপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি অবশ্যই দাখিল করতে হবে।
এ নিয়োগ আদেশ মোতাবেক ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি যোগদানের জন্য আবেদন করেন আমির আবদুল্লাহ খান। আবেদনের সঙ্গে পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি, জাতীয়তা সনদপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি, মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি এবং ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোর্স কমপ্লিশনের কাগজ দাখিল করেন।
তদন্ত কমিটির সদস্যদের পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, আমির আবদুল্লাহ খান গত ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি যোগদান করলেও তিনি মূলত ২০১৪ সালে পরীক্ষা দিয়ে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছেন। যোগদানের সময়ে তিনি ডিপ্লোমা পাসের কোনো সনদপত্র জমা দেননি।
আরও পড়ুন
কমিটির প্রধান ও চসিকের আইন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত জেলা জজ) মহিউদ্দিন মুরাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি কয়েকদিন আগে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। তবে প্রতিবেদনে কী উল্লেখ করা হয়েছে, সেই বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ৭ জানুয়ারি প্রতিবেদনটি হাতে পেয়েছি। ওই দিনই এটি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি।
জানা গেছে, একটি কোর্স কমপ্লিট করার কাগজ দিয়ে ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল বাতি পরিদর্শক হিসেবে চসিকে যোগ দেন আমির আবদুল্লাহ। তিনি তখন নিজেকে ডিপ্লোমা পাস বলে উল্লেখ করেন। যদিও তখনও কাগজে-কলমে তিনি এসএসসি পাস। ২০০৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাতি পরিদর্শকের বেতনে উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ পান আমির আবদুল্লাহ। ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি আগের সব নিয়োগ বাতিল করে তাকে উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ দেয় চসিক। তখনও তার এসএসসির ওপরে আর সনদ ছিল না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আমির আবদুল্লাহ খান ১৯৯৬ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বেশ কয়েকবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ডিপ্লোমা পাস করতে পারেননি। ২০০১ সালে তিনি সিটি কর্পোরেশনের বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি হাসানের সঙ্গে যৌথভাবে নগরের চকবাজার আলী প্লাজায় হাসান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি টিভি সার্ভিসিং সেন্টার খোলেন। যেখানে টিভি, ফ্রিজ, আইপিএস মেরামত করা হয়। চসিকে নিয়োগ পাওয়ার পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন আমির আবদুল্লাহ খান। নিজেকে শ্রমিক লীগের নেতা পরিচয় দিয়ে চসিকের বিদ্যুৎ বিভাগে একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আমির আবদুল্লাহ খান নিয়োগের সময় ডিপ্লোমা সনদ না থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ২০০৫ সালে বাতি পরিদর্শক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছি। ২০০৯ সালে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ পাই। ২০১৩ সালে এসে আগের নিয়োগ বাতিল করে সিটি কর্পোরেশন আমাকে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) হিসেবে নিয়োগ দেয়। তখনও আমার এসএসসি পাসের ওপর আর কোনো সনদ ছিল না। কিন্তু কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করে আমাকে নিয়োগ দিয়েছে। নিয়োগের শর্তে ডিপ্লোমা পাস করতে হবে— এটা উল্লেখ ছিল না। আমি ডিপ্লোমা পাস করেছি ২০১৪ সালে।
ডিপ্লোমা সনদ ছাড়া কীভাবে এসএসসি পাস করে প্রকৌশলী পদে চাকরি পেয়েছেন— জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
এমআর/এমজে