হামাসের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের অর্থমন্ত্রী আবদুল্লাহ ইউসুফ ফয়সাল সাবরি ও গোষ্ঠীটির ব্যবসায়িক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ। মঙ্গলবার এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আরব নিউজ।
জর্ডানের নাগরিক আবদুল্লাহ ইউসুফ ফয়সাল সাবরি হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে অন্যতম। বহু বছর ধরে তিনি গাজায় হামাস নিয়ন্ত্রিত প্রশাসনের অর্থমন্ত্রী ও গোষ্ঠীর অর্থনৈতিক বিভাগের প্রধানের দায়িত্বে আছেন।
এছাড়া হামাসের যেসব বিনিয়োগকারী ও কোম্পানির সঙ্গে ফিলিস্তিনের এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর সম্পর্ক রয়েছে, তাদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
তবে ট্রেজারি বিভাগের মূল লক্ষ্যবস্তু হামাসের বিনিয়োগ কার্যালয়কে নিষ্ক্রিয় করা। এই কার্যালয়ের মালিকানায় ৫০ কোটি ডলারের বেশি সম্পদ রয়েছে বলে আরব নিউজকে জানিয়েছেন ট্রেজারি বিভাগের সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও অর্থনৈতিক অপরাধ বিভাগের সহকারী সচিব এলিজাবেথ রোসেনবার্গ।
রোসেনবার্গ বলেন, ‘হামাসের বেশ কিছু গোপন বিনিয়োগের তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। তাদের বিনিয়োগ কার্যালয় এসব দেখাশোনা করে এবং এসব বিনিয়োগ থেকে যথেষ্ট অর্থ আয় করে এই রাজনৈতিক গোষ্ঠী।’
‘আর তারপর এই অর্থ তারা ব্যয় করে সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমে। গাজার অধিবাসীরা যে ব্যাপক দরিদ্রতার মধ্যে দিন যাপন করছে, তার জন্য প্রধানত দায়ী হামাস।’
১৯৮৭ সালে ইয়াসির আরাফাতের প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) বিরোধিতায় হামাসের জন্ম। পিএলও বিরোধী শক্তি হিসেবে দাঁড় করাতে শুরুর দিকে ইসরায়েল সরকার হামাসকে অর্থ সহায়তা দিয়েছিল বলে অনেকক্ষেত্রে দাবি করা হয়। তবে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠায় কোনো ধরনের ভূমিকার কথা বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে সংশ্লিষ্টরা।
হামাস আদর্শগতভাবে আলাপ-আলোচনা ও বৈঠকের ভিত্তিতে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকট সমাধানের বিরোধী। তার পরিবর্তে এই গোষ্ঠী বিশ্বাস করে, সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্যেই লুকিয়ে আছে ফিলিস্তিনের জনগণের মুক্তি ও স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনা।
পিএলও-র মতো হামাস ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকারে বিশ্বাস করে না। ইসরায়েল, গাজা ও পশ্চিম তীরকে একক ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে তারা।
২০০৭ সাল থেকে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে হামাস। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বেশিরভাগ দেশের কাছে তারা সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচিত।
এসএমডব্লিউ