ভারতে জানুয়ারি থেকে টিকা দেওয়া শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ভারতে আগামী জানুয়ারি থেকে কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধণ। ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভির অনলাইন প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতার দিক থেকে যথাযথ মানসম্পন্ন টিকাকেই এ ক্ষেত্রে বেছে নেবে ভারত
ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধণ
নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতার দিক থেকে যথাযথ মানসম্পন্ন টিকাকেই এ ক্ষেত্রে বেছে নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধণ।
জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য সম্ভাব্য টিকার কার্যকারিতা যাচাই-বাছাই করে দেখছে ভারতের কেন্দ্রীয় ঔষধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা
রোববার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হর্ষ বর্ধণ বলেন, ‘জানুয়ারির যে কোনো সপ্তাহ থেকে ভারতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হতে পারে। দেশের জনগণকে টিকার আওতায় আনার প্রাথমিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যে প্রস্তুতি প্রয়োজন, তা এই সময়সীমার মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব বলে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আমি’।
জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য সম্ভাব্য টিকার কার্যকারিতা যাচাই-বাছাই করে দেখছে ভারতের কেন্দ্রীয় ঔষধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। এক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
ভারতের দেশীয় প্রযুক্তিতে প্রস্তুতকৃত একটি টিকার ওপর দেশের বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন এবং আগামী ছয়-সাত মাসের মধ্যে দেশের প্রায় ৩০ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘টিকা প্রস্তুত এবং এ সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় গবেষণার ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারত পিছিয়ে নেই। মূলত যে বিষয়টিতে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি তা হলো সম্ভাব্য টিকা নিরাপত্তা ও কার্যকারিতার বিষয়ে আমাদের নির্ধারিত মানদন্ড উৎরাতে সক্ষম হবে কিনা। এ ক্ষেত্রে আমরা কোনো প্রকার ছাড় দিতে প্রস্তুত নই। আমাদের বিশেষজ্ঞরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছেন’।
ভারতের দেশীয় প্রযুক্তিতে প্রস্তুতকৃত একটি টিকার ওপর দেশের বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন এবং আগামী ছয়-সাত মাসের মধ্যে দেশের প্রায় ৩০ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
ভারতের সম্ভাব্য ছয়টি করোনার টিকার বর্তমানে বিভিন্ন পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে।
এ সময় ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধণ বলেন, ‘জিনোম সিকোয়েন্সিং এবং আইসোলেশন প্রক্রিয়ায় একটি টিকা প্রস্তুত করতে আমাদের বিজ্ঞানী ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ কাজ করছেন। আগামী ৬-৭ মাসের মধ্যে প্রায় ৩০ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনার সক্ষমতা তৈরি হবে আমাদের’।
ভারতের সম্ভাব্য ছয়টি করোনার টিকার বর্তমানে বিভিন্ন পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। এগুলো হলো কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন, জি কোভ-ডি, স্পুটনিক ভি, এনভিএক্স-কোভ২৩৭৩ এবং নাম নির্দিষ্ট না হওয়া একটি রিকম্বিন্যান্ট প্রোটিন অ্যান্টিজেনভিত্তিক করোনার টিকা।
এছাড়া আরও তিনটি টিকা প্রস্তুতের কাজ প্রাক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব রাজেশ ভূষণ।
এসএমডব্লিউ/এএস