পাকিস্তানি আইনপ্রণেতার বিরুদ্ধে নাবালিকা কিশোরীকে বিয়ের অভিযোগ

পাকিস্তানের পঞ্চাশোর্ধ্ব এক আইনপ্রণেতার বিরুদ্ধে ১৪ বছর বয়সী নাবালিকা এক কিশোরীকে বিয়ের অভিযোগ উঠেছে। পাকিস্তানি ওই আইনপ্রণেতার নাম মাওলানা সালাহউদ্দিন আইয়ুবী। তিনি দেশটির জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম নামক একটি রাজনৈতিক দলের নেতা এবং বেলুচিস্তান থেকে দেশটির জাতীয় পরিষদের (এমএনএ) সদস্য। ২০১৮ সালে আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ও জি নিউজ জানিয়েছে, পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের চিত্রাল শহরের একটি সমাজসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পর ঘটনাটি জানাজানি হয়। এরপরই অভিযোগের সত্যতা জানতে তদন্তে নামে পুলিশ।
তদন্তে দেখা যায়, ওই নাবালিকা কিশোরী স্থানীয় একটি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। স্কুলের রেজিস্টার অনুযায়ী তার জন্ম ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর। অর্থ্যাৎ ওই কিশোরীর বয়স বর্তমানে ১৪ বছর।
এরপর ওই কিশোরীর বাড়িতে যান পুলিশ কর্মকর্তারা। তবে কিশোরীর বাবা তার মেয়ের বিয়ের ঘটনা অস্বীকার করেন। এমনকি তার মেয়ের বিয়ে হয়নি উল্লেখ করে একটি এফিডেভিটও দেন তিনি। চিত্রাল পুলিশ স্টেশনের ইন্সপেক্টর সাজ্জাদ আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পাকিস্তানে মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৬ বছর। সেখানে মাত্র ১৪ বছরের একটি কিশোরীকে চার গুণ বেশি বয়সের এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ের অভিযোগ ওঠায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, দেশটিতে ১৬ বছরের নিচে কোনো মেয়ের বিয়ে দেওয়া অবৈধ। এমনকি কোনো অভিভাবক আইন ভঙ্গ করে নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে দিলে আইনে তাদের সাজার দেওয়ার বিধান রয়েছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কিশোরী বা পঞ্চাশোর্ধ্ব ওই আইনপ্রণেতার বক্তব্য জানা যায়নি।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, জি নিউজ
টিএম