খাশোগি হত্যার মার্কিন প্রতিবেদনে উধাও তিন নাম

সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যায় জড়িত সৌদি নাগরিকদের নিয়ে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বহুল প্রতীক্ষিত যে গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল, প্রতিবেদন থেকে রহস্যজনকভাবে তিন জনের নাম বাদ পড়েছে। কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া ছাড়াই এসব অভিযুক্তের নাম বাদ দিয়ে প্রতিবেদনটির সংশোধিত একটি সংস্করণ প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রথম প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, তারা খাশোগি হত্যায় অংশ নিয়েছিলেন বা আদেশ দিয়েছিলেন বা কোনো না কোনোভাবে জড়িত অথবা দায়ী।
সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান খাশোগিকে হত্যার অনুমোদন দিয়েছেন বলে ওই গোয়েন্দা প্রতিবেদনে দাবি করা হলেও প্রতিবেদনটি প্রকাশের দিনই সৌদি আরবের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় যুবরাজের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বাইডেন প্রশাসনকে নিয়ে ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের মধ্যেই গোয়েন্দা প্রতিবেদনের সংশোধিত সংস্করণটি প্রকাশ করার বিষয়টি কারো নজরে পড়েনি বলে জানিয়েছে সিএনএন।
খাশোগি হত্যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওই সংশোধিত গোয়েন্দা প্রতিবেদনে যে তিন ব্যক্তির নাম মুছে দেওয়া হয়েছে, তাদের সম্পর্কে প্রথম প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, তারা খাশোগি হত্যায় অংশ নিয়েছিলেন বা আদেশ দিয়েছিলেন বা কোনো না কোনোভাবে জড়িত অথবা দায়ী।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দপ্তর থেকে প্রতিবেদনটির প্রকৃত তালিকায় থাকা এসব ব্যক্তির নাম কেন বাদ দেওয়া হলো সিএনএন এর পক্ষ থেকে তা জানতে চাওয়া হলেও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তর থেকে এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়।
যে তিন ব্যক্তির নাম গায়েব, তাদের একজন হলেন আবদুল্লাহ মোহাম্মদ আল-হোয়ারিনি। তিনি সৌদির ক্ষমতাধর মন্ত্রী জেনারেল আব্দুলাজিজ বিন মোহাম্মদ আল হাওরানির ভাই বলে জানা গেছে।
গোয়েন্দা দপ্তরের এক মুখপাত্র অবশ্য সিএনএনকে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা ওয়েবসাইটে সংশোধিত একটি নথি প্রকাশ করেছি কারণ প্রথম দেওয়া প্রদিবেদনে ভুলক্রমে এসব নাম অন্তভূর্ক্ত করা হয়েছিল। যেটা আসলে হওয়া উচিত ছিল না।’
যে তিন ব্যক্তির নাম গায়েব, তাদের একজন আবদুল্লাহ মোহাম্মদ আল-হোয়ারিনি। খাসোগি হত্যায় আগে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তার নাম আসেনি। তিনি সৌদির ক্ষমতাধর মন্ত্রী জেনারেল আব্দুলাজিজ বিন মোহাম্মদ আল হাওরানির ভাই বলে জানা গেছে।
প্রথমবার প্রকাশিত প্রতিবেদন খাশোগি হত্যার সঙ্গে জড়িত হিসেবে নাম আসা অপর দুইজন হলেন ইয়াসির খালিদ আলসালেম এবং ইব্রাহিম আল-সালিম। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিস্তারিত কোনো পরিচয় জানা যায়নি।
খাশোগি হত্যার কারণে যুক্তরাষ্ট্র যে আঠারো জন সৌদি নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এই তিনজন অবশ্যই নিষেধাজ্ঞা পাননি। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে তুরস্কে সৌদি কনসল্যুটের ভেতরে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত সাংবাদিক খাশোগিকে হত্যা করা হয়।
এএস