ঢাকার মতো কলকাতাতেও মেট্রো ঘিরে উচ্ছ্বাস 

Dhaka Post Desk

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৯ এএম


ঢাকার মতো কলকাতাতেও মেট্রো ঘিরে উচ্ছ্বাস 

বাঁয়ে ঢাকায় মেট্রোট্রেন ঘিরে উৎসুক মানুষের ছবি, ডানে কলকাতার ছবি

বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেলের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে নতুন যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। সাধারণ মানুষের জন্য মেট্রোরেল খুলে দেওয়ার পর থেকে তা নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে। শীতের সকালে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষ মেট্রোরেলের অভিজ্ঞতা নিচ্ছেন। 

প্রায় একই সময়ে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাতেও চালু হয়েছে বেহালা মেট্রো। গতকাল এ মেট্রো চালুর পর সেখানেও দেখা গেছে ঢাকাবাসীর মতোই উচ্ছ্বাস। 

বেহালার বাসিন্দাদের আশা একদিন হয়তো ডায়মন্ড হারবার রোডের যানজট এড়িয়ে ট্রেন চড়ে সোজা এসপ্লানেড পৌঁছনো যাবে। ঢাকাতে যেমন মেট্রোরেলের রুটের আংশিক উদ্বোধন করা হয়েছে, কলকাতাতেও হয়েছে তেমনই। আপাতত তারাতলা ও জোকার মধ্যেই চলবে ট্রেন। ডায়মন্ড হারবার থেকে এসপ্লানেড কবে যাওয়া যাবে, সেটা তারা এখনও জানেন না।   

সোমবার সকালে জোকা স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে ভিড় করেছিলেন  ৬৫ বছরের বৃদ্ধ সরোজকুমার মণ্ডল। পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারের শুল্ক বিভাগের প্রাক্তন এই কর্মকর্তাকে পারিবারিক জমির একাংশ ছেড়ে দিতে হয়েছে এই মেট্রোর ডিপো তৈরির জন্য। নানা জটিলতায় ক্ষতিপূরণের টাকাও এখনও হাতে পাননি তিনি। তারপরও প্রথম দিনের মেট্রোযাত্রার শরিক হয়েছিলেন সরোজ। 
পূর্ব রেলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী বুদ্ধদেব ঘোষও গিয়েছিলেন লন্ডনবাসী কন্যা বিপশ্বীকে নিয়ে। তার কথায়, যে বেহালার রাস্তায় কিছুই প্রায় নড়ে না, সেখানে মাথার ওপরে মেট্রো ছুটবে, ভেবেই ভালো লাগছে।  

প্রথম দিনের এ মেট্রোযাত্রা ঘিরে ঠিক ঢাকার মতোই উচ্ছ্বাস ছিল বেহালাতেও। নানা বয়সের মানুষ ভিড় করেছিলেন মেট্রোয় চড়তে। কেউ গিয়েছিলেন বন্ধু-বান্ধব নিয়ে, কেউ গিয়েছিলেন পরিবার-পরিজন নিয়ে। সেলফি তুলেছেন, উৎসবে মেতেছেন নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে।  

তারাতলা-জোকার প্রথম মেট্রোয় ৩০৬ জন যাত্রী সফর করেন। তারাতলা থেকে ফিরতি মেট্রোয় যাত্রী-সংখ্যা ছিল ১০০ মতো। প্রথম দিনে ওই মেট্রোয় মোট ৫০০৩ জন যাত্রী সফর করেছেন।  

এনএফ

Link copied