ভারতে ‘রহস্যময়’ অসুস্থতায় হাসপাতালে ৩ শতাধিক

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় অন্ধ্রপ্রদেশে ‘রহস্যময়’ অসুস্থতায় একজনের প্রাণহানি এবং আরও অন্তত ৩৮০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। প্রদেশের ইলুরু এলাকার বাসিন্দারা হঠাৎ খিঁচুনি, বমি, কাঁপুনির পর সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলছেন। গত শনিবার এই অসুস্থতায় ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তবে এই অসুস্থতার কোনও কারণ এখনও পরিষ্কার জানা যায়নি।
অন্ধ্রপ্রদেশের স্বাস্থ্য কমিশনার কে ভাস্কর রাও বলেছেন, অসুস্থদের মধ্যে যেসব লক্ষণ দেখা যাচ্ছে- তার মধ্যে খিঁচুনি, কাঁপুনি ও স্নায়ুবিক দুর্বলতা অন্যতম। অসুস্থ প্রত্যেকের বয়স প্রায় কাছাকাছি এবং একই গ্রুপের হওয়ায় রোগটি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
দেশটির দক্ষিণের এই প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগনমোহন রেড্ডি ইলুরুর একটি সরকারি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন; যেখানে অন্তত দেড়শ জন ভর্তি রয়েছেন। চন্দ্রবাবু নাইডুর উত্তরসূরী এই মন্ত্রী ওই এলাকায় স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারির দাবি জানিয়েছেন।
রাজ্যের চিকিৎসকরা রহস্যময় এই অসুস্থতার কারণ এখনও শনাক্ত করতে পারেননি। এছাড়া এনসেফালাইটিস, হেপাটাইটিস ও র্যাবিস ভাইরাসের সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশের নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর সদস্যদের অসুস্থ হয়ে পড়ার শঙ্কাও নাকচ করে দিয়েছেন তারা।
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা লোকজনের নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন ভাস্কর রাও। তিনি বলেছেন, চিকিৎসকরা এখনও অসুস্থতার উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।
ইলুরুর পৌর এলাকার ৬২টি ওয়ার্ডের ৩৪টির বাসিন্দারা একই উৎসের পানি ব্যবহার করতেন। ওই এলাকার পানি পরীক্ষায় নিরাপদ প্রমাণিত হয়েছে
অন্ধ্রের স্বাস্থ্য কমিশনার
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ ও অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসের বিজ্ঞানীরা ইলুরু থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন। তবে প্রাথমিকভাবে সংগৃহীত রক্ত, মূত্র এবং সেরিব্রাল-স্পাইনাল ফ্লুইডের নমুনায় কোনও সমস্যা পাওয়া যায়নি। অসুস্থদের সহায়তা দিতে ইলুরুতে ২৪ ঘণ্টার নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে।
সূত্র : বিবিসি, এনডিটিভি।
এসএস