পাকিস্তানে ফিরছেন নওয়াজ শরিফ, উচ্ছ্বসিত পিএমএলএন

পাকিস্তানের তিন বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ তার চার বছরের স্বেচ্ছানির্বাসন কাটিয়ে পাকিস্তান ফিরছেন। শনিবারই রাজধানী ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে অবতরণ করবে তাকে বহনকারী উড়োজাহাজটি।
নওয়াজ শরিফের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) জ্যেষ্ঠ নেতা ও পাকিস্তানের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহম্মদ আসিফ বার্তাসংস্থা এএফপিকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘আজ আমাদের আনন্দের দিন, আশাবাদী হওয়ার দিন। তার প্রত্যাবর্তন পাকিস্তানের জনগণ ও তার অর্থনীতির জন্য মঙ্গলজনক।’
দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৭ সালে ক্ষমতাচ্যুত হন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। আদালতে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৮ সালে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট তাকে ৭ বছর কারাবাসের সাজা এবং নির্বাচনে দাঁড়ানোর ওপর আজীবন নিষিধাজ্ঞা দেন।
কারাগারে সাজা ভোগরত অবস্থায় ২০১৯ সালে চিকিৎসা ভিসা নিয়ে লন্ডনে যান নওয়াজ। তারপর আর দেশে ফিরে আসেননি তিনি।
তার দল পিএমএলএন জানিয়েছে, প্রথম দিকে লন্ডনে থাকলেও গত প্রায় ৬ মাস ধরে দুবাইয়ে বসবাস করছিলেন নওয়াজ। তাকে বহনকারী উড়োজাহাজটিও আসছে দুবাই থেকেই।
দুর্নীতির দায়ে দণ্ড ভোগরত অবস্থায় দেশ ত্যাগের কারণে পাকিস্তানে ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেপ্তার হয়ে ফের কারাগারে ঢুকতে হতো নওয়াজকে। কিন্তু শুক্রবার এক আদেশে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার পর্যন্ত তার সুরক্ষা জামিন নিশ্চিত করেছেন। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী, এই সময়সীমার মধ্যে নওয়াজ শরীফকে গ্রেপ্তার করা যাবে না।
হাইকোর্ট এই আদেশ দেওয়ার এক দিন পরই দেশে ফিরছেন নওয়াজ।
বিভিন্ন কারণেই নওয়াজ শরিফের এই প্রত্যাবর্তন গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, দেশটির আগামী পার্লামেন্ট নির্বাচন হবে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে। নওয়াজের নেতৃত্ব ও কৌশল ব্যতীত এই নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না পিএমএলএনের পক্ষে।
পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে তার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ও প্রতিপক্ষ ইমরান খান। দেশটির সাধারণ জনগণের কাছে নওয়াজের তুলনায় ইমরান খান অনেক বেশি জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য।
কিন্তু বিভিন্ন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন ইমরান। নির্বাচনের আগে তিনি মুক্ত হতে পারবেন— এমন সম্ভাবনা প্রায় শুণ্য। পাকিস্তানের প্রচলিত আইনে কারাগার থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগও নেই।
এ কারণে আগামী নির্বাচনে নিজেদের সামনে সুবর্ণ সুযোগ দেখছে পিএমএলন।
সূত্র : এএফপি
এসএমডব্লিউ