নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তনের চেষ্টার অভিযোগ পিটিআইয়ের

পাকিস্তানে গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন। বৃহস্পতিবার বিকেলে ভোট গ্রহণ শেষ হলেও আজ শুক্রবার প্রায় দুপুর গড়িয়ে গেলেও নির্বাচনের পূর্ণ ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।
এরমধ্যে নির্বাচনে এগিয়ে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ অভিযোগ করেছে, নির্বাচন কর্মকর্তারা ফলাফল পরিবর্তনের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এজন্য সমর্থকদের পূর্ণ ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত আঞ্চলিক অফিসে (আরও) অবস্থান নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে দলটি।
তেহরিক-ই-ইনসাফের ফেসবুকে পেজে গতকাল রাত থেকেই নির্বাচন সংক্রান্ত আপডেট দেওয়া হচ্ছে। ফেসবুকে দেওয়া কয়েকটি পোস্টে তারা এমন গুরুতর অভিযোগ করেছে। এছাড়া তাদের প্রকাশিত কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সমর্থকরা পতাকা হাতে আঞ্চলিক অফিসে অবস্থান করছে।
পাকিস্তানের মিডিয়ার বরাতে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১০০টিরও আসনে গণনা শেষে এগিয়ে রয়েছেন সাবেক পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
এর আগে অবশ্য পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের প্রকাশ করা প্রাথমিক পরিসংখ্যানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন সামান্য এগিয়ে ছিল বলে জানানো হয়েছিল।

রয়টার্স বলছে, শুক্রবার ১০০ টিরও বেশি আসনে ভোটগণনা সম্পন্ন হওয়ার পর কারাগারে বন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পাকিস্তানের নির্বাচনী ফলাফলে এগিয়ে রয়েছে বলে স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে। আর ভোট গণনায় অস্বাভাবিক বিলম্বের জন্য মোবাইল ফোন পরিষেবা স্থগিত করাকে দায়ী করেছে দেশটির সরকার।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ বলেছে, ফলাফল ঘোষণা করা ১০৬টি আসনের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৪৭টি আসনে জিতেছে। এসব প্রার্থীদের বেশিরভাগই ইমরান খানের প্রতি আনুগত্য। বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে জাতীয় পরিষদের মোট ২৬৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে।
সাধারণত এই সময়ের মধ্যে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়ে যায়। তবে এবার সেটি অনেক বেশি বিলম্ব হচ্ছে।
এমটিআই