অবশেষে ব্রেক্সিট অধ্যায়ের অবসান

কয়েক মাসের আলোচনা শেষে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাজ্য গত ২৪ ডিসেম্বর যে বাণিজ্য চুক্তিতে সম্মত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অনুমোদনের পর তা এখন আইনে পরিণত হয়েছে।
চুক্তিটি কার্যকরে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ও ইইউ পার্লামেন্টের অনুমোদন ছিল আবশ্যক। বিবিসি জানিয়েছে, বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় আইনটি পাস হয়। এর আগে ইইউ পার্লামেন্টেও তা পাস হয়।
উভয় পক্ষ অনুমোদন দেয়ায় নতুন বছরের প্রথম প্রহর থেকে এ বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর হবে। পহেলা জানুয়ারি ইইউ জোট থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ কার্যকর হবে। তাই তাড়াহুড়ো করে চুক্তিটিতে অনুমোদন দেয়া হলো।
বড়দিনের আগের রাতে চুুক্তিতে উপনীত হওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর খুব দ্রুত গতিতে চুক্তিটি কার্যকরের জন্য কাজ করেছে ব্রিটিশ সরকার। তাই ব্রেক্সিট কার্যকরের ঠিক আগের দিন চুক্তিটি আইনে পরিণত হলো।
ইউরোপ তথা বিশ্বের সর্ববৃহৎ জোট ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ কার্যকর হয় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। কিন্তু দুই পক্ষের সম্পর্ক নির্ধারণে একটি চুক্তির জন্য ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় রাখা হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াটিই হলো ব্রেক্সিট। এতদিন যুক্তরাজ্য ইইউ’র একক বাজারে থাকলেও বেক্সিট-পরবর্তী সময়ে সম্পর্ক কেমন হবে তা নির্ধারণেই এক বছর সময় লাগলো।
চুক্তিটি আইনে পরিণত করায় পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেছেন, ‘এখন আমাদের এই মহান দেশের ভবিষ্যত আমাদের হাতে।’
পার্লামেন্টে কয়েক দফা ব্রেক্সিট চুক্তি পাস করাতে ব্যর্থ হওয়ার পর ২০১৯ সালে পদত্যাগ করেন তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। এরপর আগাম সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন বরিস জনসন।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন্য এই চুক্তিটি নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও বিরোধীরা বলছেন, ইইউতে থাকার সময় যুক্তরাজ্যের যে অবস্থা ছিল এই চুক্তির কারণে পরিস্থিতি তার চেয়েও খারাপ হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে এক গণভোটের মাধ্যমে ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটেন। এরপর নানারকম প্রতিবন্ধকতা শেষে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি সেই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
এএস