তিন দিনের সফরে সৌদি যাচ্ছেন ইমরান

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সৌদি আরব যাচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রিয়াদের উদ্দেশে ইসলামাবাদ থেকে ফ্লাইটে উঠবেন পাক প্রধানমন্ত্রী, রোববার (৯ এপ্রিল) তিনি দেশে ফিরেবেন।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশিসহ দেশটির মন্ত্রীসভার কয়েকজন সদস্য এই সফরে ইমরান খানের সঙ্গী হয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ এই সফরটিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও সৌদি যুবরজের মধ্যে উভয় দেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, পাকিস্তানের নাগরিকদের জন্য সৌদি আরবে শ্রমবাজার সৃষ্টি ও দ্বিপাক্ষীক সহযোগিতার যাবতীয় ক্ষেত্র বিষয়ে আলোচনা হবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, তিন দিনের এই সফরে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি সৌদি বাদশা সালমান, ওআইসির সচিব ইউসেফ আল ওথাইমিন, ওয়ার্ল্ড মুসলিক লীগের মহাসচিব মোহাম্মদ বিন আব্দুলকরিম আল ইসা এবং মক্কার কাবা শরীফ ও মদিনার মসজিদ-উন-নবীর ইমামদের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে ইমরানের।
সৌদি সরকারী সূত্র জানিয়েছে, এবারের সফরে পাকিস্তানের সঙ্গে সৌদি আরবের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি ইমরানের অন্যতম লক্ষ্য কাশ্মির ইস্যুতে মুসলিম বিশ্বে পাকিস্তানের পক্ষে জনমত গড়ে তোলা।
২০১৯ সালে সংবিধান পরিবর্তনের মাধ্যমে ভারতের কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার কাশ্মিরের স্বায়ত্বশাসন বাতিলের ঘটনা ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ইমরান খান। সে সময় থেকেই মুসলিম বিশ্বে এ বিষয়ে জনমত গড়ার চেষ্টা শুরু করেছিলেন তিনি।
সে সময় ওআইসিকে এ বিষয়ে অগ্রসর হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছিলেন, কিন্তু ওআইসি তাতে সাড়া দেয়নি। তবে তাতে অবশ্য হাল ছাড়েননি ইমরান। এখনও চেষ্টা জারি রেখেছেন তিনি।
বর্তমানে ঋণসমস্যায় জর্জরিত আছে পাকিস্তান। ২০১৯ সালে সৌদি আরবের কাছ থেকে ১০০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিল দেশটি; কিন্তু সময়মত ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় কিছুটা তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছিল উভয় দেশের মধ্যে।
সম্প্রতি অবশ্য সেই তিক্ততার অবসান হয়েছে। চীনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সেই টাকায় সৌদি আরবের ঋণশোধ করেছে পাকিস্তান।
সূত্র: সাউথএশিয়ান মনিটর
এসএমডব্লিউ