শ্রমিক সংকট কাটাতে নতুন দেশ থেকে অভিবাসীদের নিতে চায় রাশিয়া

সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের বাইরে মিয়ানমার-সহ আসিয়ান দেশগুলো থেকে অভিবাসী শ্রমিক নিতে চায় রাশিয়া। দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, অভিবাসী শ্রমিক নিয়োগের উৎসকে আরও সম্প্রসারণ করতে চায় মস্কো। মঙ্গলবার রাশিয়ার অর্থমন্ত্রীর বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধরত রাশিয়ায় বর্তমানে বেকারত্বের হার রেকর্ড সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছেছে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দেশটিতে শ্রমিক সংকটকে সমস্যা হিসাবে শনাক্ত করেছেন। গত শুক্রবার স্টিল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সেভারেস্টালের নির্মাণ খাতে অভিবাসী শ্রমিকদের নিষিদ্ধ করার আঞ্চলিক এক পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন পুতিন।
ঐতিহ্যগতভাবে রাশিয়ায় অভিবাসী কর্মীদের হিসাবে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকদের আধিপত্য রয়েছে। দেশটির অর্থমন্ত্রী ম্যাক্সিম রেশানিকভ বলেছেন, আমরা সাধারণত যেসব দেশ থেকে অভিবাসীদের আকৃষ্ট করতে অভ্যস্ত, বর্তমানে কেবল সেসব দেশের ওপর আমাদের নির্ভর করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের একেবারে নতুন দেশগুলোর দিকে নজর দেওয়া দরকার। কারণ বিশ্বের প্রচুর দেশ রয়েছে যারা সক্রিয়ভাবে, নিঃশব্দে, সচেতনভাবে তাদের শ্রম সম্পদ রপ্তানি করে। আমাদের এ জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত।’’
অভিবাসী শ্রমিক নিয়োগের বিষয়ে রাশিয়া ইতোমধ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করছে বলে জানিয়েছেন ম্যাক্সিম রেশানিকভ। তিনি বলেন, সাড়ে ৫ কোটি মানুষের এই দেশটির প্রায় ৬০ লাখ অভিবাসী বর্তমানে বিদেশে কাজ করছেন।
মঙ্গলবার ক্রেমলিনে মিয়ানমারের নেতা ও সামরিক জান্তা প্রধান মিন অং হ্লেইংয়ের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকে ব্সার কথা রয়েছে। রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী ও প্রতিরক্ষা শিল্পে বিপুল নিয়োগের ফলে শ্রমিকদের বেসামরিক উদ্যোগ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে।
এছাড়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া কয়েক হাজার সেনা ইউক্রেনে পাঠানোর পর থেকে এখন পর্যন্ত লাখ লাখ রুশ নাগরিক দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। যে কারণে রাশিয়ার সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন খাতে দক্ষ জনবলের ব্যাপক ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স।
এসএস