ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্টকে ধরে নেওয়া হচ্ছে আন্তর্জাতিক আদালতে

ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তেকে ‘জোরপূর্বক’ নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তার মেয়ে সারা দুতের্তে।
মাদক বিরোধী অভিযান চালানোর সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে রদ্রিগো দুতের্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদাল (আইসিসি)।
ফিলিপাইনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘ফিলিপাইন স্টার’ জানিয়েছে, দুতের্তেকে মঙ্গলবার বিকেলের দিকে একটি বিমানে তোলা হয়। তার মেয়ে ভেরোনিকা ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে লিখেছেন, “আমার বাবার স্বাস্থ্যগত বিষয়টি বিবেচনা না করে তারা তাকে জোর করে বিমানে করে নিয়ে যাচ্ছে।”
রদ্রিগোর আরেক মেয়ে সারা দুতের্তে জানিয়েছেন, তার বাবাকে হেগে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি বলেছেন, “আমি যখন এই বিবৃতিটি লিখছি। তাকে জোরপূর্বক আজ রাতে হেগে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটি কোনো ন্যায়বিচার নয়। এটি অত্যাচার নিপীড়ন।” সারা দুতের্তে ফিলিপাইনের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট।
৭৯ বছর বয়সী দুতের্তে মঙ্গলবার গভীররাতে হংকং থেকে ফিলিপাইনে আসেন। ওই সময় রাজধানী ম্যানিলার প্রধান বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
রদ্রিগো দুতের্তে দীর্ঘ ছয় বছর ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এরআগে দাবোর শহরের মেয়র ছিলেন। তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। এ যুদ্ধে ছয় হাজার মানুষকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশের নথিতে রয়েছে। সমালোচকদের ধারণা প্রকৃত সংখ্যাটি আরও বেশি।
দুতের্তে অবশ্য বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাদের হত্যা করা হয়েছে তাদের বেশিরভাগই তরুণ। এই সময়টায় দেশটিতে মাদকের ব্যবহার অনেকটা কমে যায়। এ কারণে নিজের সমর্থকদের কাছে রদ্রিগো দুতের্তে খুবই জনপ্রিয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করার অভিযোগ ওঠার পর ২০১৯ সালে আইসিসি থেকে ফিলিপাইনকে প্রত্যাহার করে নেন রদ্রিগো দুতের্তে। তবে সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের নিয়ম অনুযায়ী, ফিলিপাইন সদস্য থাকাকালীন যেহেতু অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। তাই রদ্রিগো দুতের্তের বিচার তারা করতে পারবে।
সূত্র: সিএনএন
এমটিআই