ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ‘পরিবর্তনের’ লক্ষণ দেখছে আইএইএ

ইরানের নাতাঞ্জ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের ভূগর্ভস্থ অংশে ‘সরাসরি প্রভাব’ পড়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা। তবে ইসফাহান পরমাণু কেন্দ্র বা ভূগর্ভস্থ ফর্দো সমৃদ্ধকরণ প্ল্যান্টে কোনও পরিবর্তন তাদের নজরে আসেনি।
দ্য ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি অ্যাজেন্সি (আইএইএ) বলছে, তারা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাওয়া ছবি বিশ্লেষণ করে দেখেছে। শুক্রবার ইসরায়েলের হামলার পর এসব ছবি সংগ্রহ করা হয়।
শুক্রবার ইরানের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
বিবিসি হামলার বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপ যাচাই করে পাঁচটি স্থানের তথ্য নিশ্চিত করেছে, যেগুলাে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা। এর কয়েকটি রাজধানী তেহরানে, আর বাকিগুলো দেশের অন্যান্য এলাকার।
ইরান শুরু থেকেই জোর দিয়ে বলে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি কেবল বেসামরিক ও শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে স্থাপন করা।
নাতাঞ্জ ফুয়েল এনরিচমেন্ট প্ল্যান্ট (এফইপি) হচ্ছে ইরানের সবচেয়ে বড় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র; যা ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে চালু হয়।
এই প্ল্যান্টের দুটি ইউনিট রয়েছে। একটি ইউনিট হলো পাইলট ফুয়েল এনরিচমেন্ট ফ্যাসিলিটি (পিএফইপি) যেখানে পরীক্ষামূলকভাবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা হয়।
দুটি ইউনিটেরই অবস্থান মাটির নিচে, বিশেষ সুরক্ষা দিয়ে তৈরি যাতে বিমান হামলার আঘাত থেকে বাঁচানো যায়।
এই কেন্দ্রটিতে তিনটি বড় ভবন রয়েছে যার সবগুলোই মাটির নিচে নির্মিত। শুক্রবারের হামলায় এই কেন্দ্রের অনেক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।
সূত্র: বিবিসি।
এসএস