বিশ্বে করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে

করোনাভাইরাস মহামারিতে বিশ্বে একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানির রেকর্ড হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা গেছেন ৩ হাজার ৫৪ জন; যা মহামারি শুরু হওয়ার পর বিশ্বের যেকোনও দেশে একদিনে সর্বোচ্চ।
গত ৭ মে যুক্তরাষ্ট্রেই করোনায় একদিনে সর্বাধিক ২ হাজার ৭৬৯ জনের প্রাণহানির রেকর্ড হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের কোভিড ট্র্যাকিং প্রজেক্ট বলছে, দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত এক লাখ ৬ হাজারের বেশি মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অঙ্গরাজ্যের হাসপাতাল রোগীতে প্রায় পরিপূর্ণ।
মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, জনগণ যদি অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এবং বৃহৎ জনসমাগম এড়াতে সরকারি সতর্কতা উপেক্ষা করে চলেন; তাহলে আগামী কয়েক সপ্তাহে পরিস্থিতি আরও গুরুতর আকার ধারণ করবে।
দেশটিতে থ্যাঙ্কসগিভিং ডে উপলক্ষ্যে জনগণ পূর্ব-সতর্কতা না মেনে চলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতিতে ছুটছে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেছেন।
করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণ কৌশল নিয়ে শুরু থেকেই দেশটিতে ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে নাগরিকদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরানোর অঙ্গীকার করেছেন।
বিশ্বে করোনায় এখন পর্যন্ত সর্বাধিক মৃত্যু এবং আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এই মহামারিতে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা দেড় কোটি ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ২ লাখ ৮৯ হাজারের বেশি।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হওয়ার পর থেকে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। চীন শুরুর দিকে তথ্য গোপন করায় এই ভাইরাস বিশ্বজুড়ে মহামারি আকার ধারণ করেছে বলে শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যদিও চীন বরাবরের মতো এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কয়েকদিন আগে দেশটির বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসের উৎপত্তি ভারত, বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশ থেকে হতে পারে বলে এক গবেষণায় জানিয়েছেন।
এসএস