ফিলিস্তিনিদের দেহে ফাঁসি-গুলির চিহ্ন, আছে ট্যাংক দিয়ে চাপা দেওয়ার আলামত

যুদ্ধবিরতির চুক্তির অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ১২০ জনের মরদেহ ফেরত পাঠিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। গত সোমবার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর তিন ধাপে এসব মরদেহ ইসরায়েল থেকে গাজায় এসেছে।
যাদের অনেকের দেহে নির্যাতন, ফাঁসি, গুলি এবং ট্যাংক দিয়ে চাপা দেওয়ার চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া অনেকের হাত-পা বাঁধা ছিল। এতে বোঝা যাচ্ছে, তাদের হত্যা করে এরপর গাজায় পাঠিয়েছে দখলদাররা।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ১২০টি মরদেহ আসার তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে এরমধ্যে কয়েক ডজন মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। যাদের দেহে নির্মম নির্যাতন ও হত্যার চিহ্ন রয়েছে।
তারা দেখতে পেয়েছেন, কয়েকজনের দেহে রশি ও ফাঁসির চিহ্ন রয়েছে। কাউকে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে। যার অর্থ তাদের ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
অনেকের হাত-পা প্লাস্টিকের রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। অনেকের চোখ বাঁধা ছিল। কারও শরীরে ছিল ট্যাংক দিয়ে চাপা দেওয়ার চিহ্ন।
এছাড়া এই মৃতদেহগুলোতে গভীর ক্ষত আছে। যার অর্থ হত্যার আগে তাদের নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে।
দখলদার ইসরায়েলের এসব হীন কাজের নিন্দা জানিয়ে গাজার মিডিয়া অফিস হত্যাকাণ্ডগুলোর আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছে, গাজাবাসীর ওপর যুদ্ধপরাধ সংঘটিত করেছে ইসরায়েল।
গত সোমবার যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর হামাস ২০ জীবিত ও ৯ মৃত জিম্মির মরদেহ ফেরত দিয়েছে। ধারণা করা হয়, হামাসের কাছে এখনো ১৮ জিম্মির মরদেহ রয়ে গেছে। যেগুলো খুঁজে পেতে সময় লাগবে।
সূত্র: আলজাজিরা
এমটিআই