সুদানে গণহত্যায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আরব আমিরাতকে বয়কটের ডাক

সুদানের এল-ফাশার শহের প্যারামিলিটারি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) ভয়াবহ গণহত্যার জেরে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, আরএসএফকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে আমিরাত। তারা সুদানের রাজধানী দারফুর ও এর আশপাশের এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সেখানে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।
আরএসএফের ফাইটাররা নিজেরাই এসব হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ধারণ করে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করছে।
জানা গেছে, এল-ফাশার শহরটি দখলের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেখানে ২ হাজার নিরস্ত্র বেসামরিক মানুষকে হত্যা করে আরএসএফের সদস্যরা। নৃশংসতার মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, কিছু মানুষকে তাদের নিজ বাড়ি অথবা গাড়ির ভেতর জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে।
আমিরাতকে বয়কটের ডাক
আরএসএফের এমন ভয়াবহতার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরব আমিরাতকে বয়কটের ডাক দিচ্ছেন অনেকে। যা দিনে দিনে আরও জোরালো হচ্ছে।
ইনস্টাগ্রামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, “হাবিবি দুবাই এবং আমিরাত ভ্রমণ বয়কট করুন। কেন? সুদানে আরএসএফ একটি গণহত্যা চালাচ্ছে। যাদের অস্ত্র ও অর্থায়ন করেছে আমিরাত।”
মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সেও আমিরাতকে বয়কটের ডাক কয়েকদিন ধরে ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে।
আমিরাত এয়ারলাইন্সের পোস্টে ক্ষোভ ঝারছেন সাধারণ মানুষ
গত বৃহস্পতিবার আমিরাত এয়ারলাইন্স সামাজিকমাধ্যমে বিমানের ভেতরের একটি ছবি প্রকাশ করে। ছবির ক্যাপশনে সংস্থাটি লিখেছে, “এভাবে আমরা ব্যবসা করি।” এই পোস্টের নিচে এল-ফাশার শহরে হওয়া ভয়াবহ গণহত্যার ছবি ও ভিডিও দেন অনেকে।
এরমধ্যে ব্রিটিশ পডকাস্টার মুহাম্মদ জালাল আমিরাত এয়ারলাইন্সের পোস্টটি শেয়ার করে সেখানে সুদানের এক মা ও তার সন্তানের ছবি পোস্ট করেছেন। এতে দেখা যাচ্ছে, আরএসএফের ফাইটার তাদের দিকে অস্ত্র তাক করে রেখেছে। আর ওই মা তার ছেলেকে ধরে ভয়ার্ত অবস্থায় বসে আছেন।
অভিযোগ রয়েছে, আমিরাত সরকার আরএসএফকে অস্ত্র দিয়ে থাকে। তাদের পাঠানো ড্রোন দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় হামলার প্রমাণও পাওয়া গেছে। এতে করে আমিরাতের ওপর ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ।
আরএসএফ সদস্যরা মূলত দারফুর ও এল-ফাশারের অ-আরব ও মাসালিত গোষ্ঠীর মানুষের ওপর নির্মমতা চালাচ্ছে।
সূত্র: নিউ আরব
এমটিআই