সৌদি যুবরাজের যুক্তরাষ্ট্র সফর, ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক গড়ার ঘোষণা আসবে?

সৌদি আরব শিগগিরই আব্রাহাম চুক্তিতে স্বাক্ষর করে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে— দুই সপ্তাহ আগে এমন আশা প্রকাশ করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আগামী ১৮ নভেম্বর ঐতিহাসিক এ সফরে দেশটিতে যাচ্ছেন সৌদির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
২০১৮ সালে সাংবাদিক ও কলামিস্ট জামাল খাসোগিকে তুরস্কে সৌদির দূতাবাসের ভেতর হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন সালমান।
দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সৌদিকে চাপ দিলেও আপাতত এমন কিছু হবে না।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স রোববার (৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সত্যিকারের রূপরেখা তৈরি না হবে ততদিন দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন বা তাদের স্বীকৃতি দেবে না সৌদি আরব। আর এ ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান অনড় রয়েছে জানিয়েছে কূটনৈতিক চ্যানেলে বার্তা পাঠিয়েছে সৌদি আরব। যেন যুবরাজ সালমানের যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় এ ব্যাপারে কোনো ভুল বোঝাবুঝি না হয়।
মধ্যপ্রাচ্যের দুটি সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি আরও বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আগেভাগেই এ বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে কারণ সৌদি চায় যুবরাজের সফরের সময় যেন কোনো কূটনৈতিক ভুল পদক্ষেপ না নেওয়া হয় এবং কোনো ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়।
মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জোনাথান পেইনকোফ রয়টার্সকে বলেছেন, “অন্তত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রূপরেখা ছাড়া নিকট ভবিষ্যতে ইসরায়েলর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার ব্যাপারে আগ্রহী নন যুবরাজ সালমান।”
সূত্র: রয়টার্স
এমটিআই