সৌদি সীমান্তে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে জড়ো হচ্ছে ২০ হাজার যোদ্ধা

সৌদি আরবের সীমান্ত এলাকায় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে জড়ো হচ্ছে ২০ হাজার সশস্ত্র যোদ্ধা। তারা ইয়েমেনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থনপুষ্ট ‘সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের (এসটিসি)’ যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালাতে পারে।
এসটিসি গত মাসে ইয়েমেনের তেলসমৃদ্ধ হাদরামাউত প্রদেশের বিভিন্ন ভূখণ্ড নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।
১৯৯০ সালের আগে ইয়েমেন— উত্তর ইয়েমেন ও দক্ষিণ ইয়েমেন নামে আলাদা দুটি দেশ ছিল। এসটিসি এখন ইয়েমেনকে আবারও দুইভাগে বিভক্ত করতে চায়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থিত এসটিসিকে ইতিমধ্যে সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, সৌদি আরবের বিমানবাহিনী তাদের ওপর সরাসরি হামলা চালাতে পারে।
অপরদিকে এসটিসিকে স্থলে প্রতিহত করতে সৌদির সীমান্তবর্তী আল-ওয়াদিয়াহ এবং আল-আবর এলাকায় জড়ো হচ্ছে ‘ন্যাশনাল শেল্ড’ নামে আরেকটি সশস্ত্র যোদ্ধা।
সৌদি আরবের এমন হুমকির মুখেই এসটিসিকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আরব আমিরাত। এতে করে দুই দেশের সমর্থিত যোদ্ধাদের মধ্যে সরাসরি সংঘাতের শঙ্কা বাড়ছে।
ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলে এমনিতেই হুতি ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে লড়াইয়ের কারণে দীর্ঘদিন দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলছে। এখন দক্ষিণ দিকে সংঘাতের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। চলমান গৃহযুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
এসটিসি গত শুক্রবার আদেন নামে একটি অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর সৌদি আরব তাদের সেখান থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দেয়। তবে এসটিসি জানিয়েছে, সৌদির এ নির্দেশনা তারা মানবে না।
এসটিসির যোদ্ধারা প্রথমে হাদরামাউতে প্রবেশ করে। এরপর পার্শ্ববর্তী মাহরা প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এটি ওমানের সঙ্গে লাগোয়া একটি প্রদেশ। এছাড়া আবইয়ান প্রদেশেও যোদ্ধা পাঠিয়ে সেখানে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে এসটিসি।
এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর এমন হঠাৎ উত্থানে বেশ অবাক হয়েছে সৌদি আরব। কারণ ইয়েমেনে আগে থেকেই তাদের আধিপত্য রয়েছে। সৌদি চায় না ইয়েমেন আলাদা দুটি দেশ হোক। কিন্তু এসটিসি দেশটিকে ভাগ করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে।
হাদরামাউত প্রদেশটি ইয়েমেনের মোট ভূখণ্ডের ৩৬ শতাংশ নিয়ে গঠিত। সেখানের দেশটির সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্র রয়েছে। এছাড়া আছে মুকাল্লা, আল-শিরের মতো গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। এছাড়া ডাব্বাতে তেলের একটি টার্মিনালও আছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
এমটিআই