সোমালিল্যান্ড নিয়ে ইসরায়েলকে নতুন হুমকি দিলো হুথি গোষ্ঠী

পূর্ব আফ্রিকার ‘হর্ন অব আফ্রিকা’ অঞ্চলের দেশ সোমালিল্যান্ডে ইসরায়েলের যে কোনো ধরনের উপস্থিতি লক্ষ্য করলেই তাতে হামলা করবে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন হুথি গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতাা আবদুলমালিক আল হুথি।
সোমালিয়ার পূর্বাঞ্চলে এবং এডেন উপসাগরের দক্ষিণে অবস্থিত ১ লাখ ৭৬ হাজার ১২০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ভূখণ্ড সোমালিল্যান্ড। দীর্ঘ কয়েক দশকব্যাপী গৃহযুদ্ধের পর ১৯৯১ সালে সোমালিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
তবে স্বাধীনতা ঘোষণার তিন দশক অতিক্রান্ত হওয়ার পরও কোনো দেশের স্বীকৃতি দেয়নি এবং জাতিসংঘের সদস্যপদ পায়নি সোমালিল্যান্ড। ইসরায়েলই প্রথম স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে সোমালিল্যান্ডকে। গত ২৬ ডিসেম্বর শুক্রবার ইসরায়েলের কাছ থেকে এই স্বীকৃতি পেয়েছে সোমালিল্যান্ড।
অবশ্য সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ায় বিশ্বজুড়ে সামলোচনা চলছে ইসরায়েলের। মিসর, তুরস্ক, ইরান, সৌদি আরব, মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর জোট গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল, ওআইসি, আরব লীগ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যে সোমালিয়ার অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
এমনকি জাতিসংঘের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসংস্থা নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকেও এক যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া পরিষদের অন্য সব সদস্যরাষ্ট্র ইসরায়েলের এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে।
সোমালিয়া ও ইয়েমেন— উভয়েই এডেন সাগরের উপকূলে অবস্থিত। সোমবারের বিবৃতিতে আবদুলমালিক আল হুথি বলেন, “ইসরায়েলের এ আগ্রাসী পদক্ষেপ সোমালিয়া এবং ইয়েমেন— উভয়ের জন্যই হুমকিস্বরূপ। তাই হুথি গোষ্ঠী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভবিষ্যতে সোমালিল্যান্ডে ইসরায়েলের যে কোনো ধরনের উপস্থিতিকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে।”
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের গাজা উপক্যতায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের সময় এডেন উপসাগর ও লোহিত সাগরে ইসরায়েলি কিংবা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত জাহাজগুলো লক্ষ্য করে নিয়মিত রকেট, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হুথি গোষ্ঠী। তবে ১০ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধবিরতির পর থেকে হামলা বন্ধ রেখেছে হুথি।
সূত্র : আরটি
এসএমডব্লিউ