দেশে ফিরেছেন তালেবান নেতা মোল্লাহ বারাদার

কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দুদিন পর আফগানিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হতে যাওয়া তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও রাজনৈতিক শাখার প্রধান মোল্লাহ আব্দুল গনি বারাদার দেশে ফিরেছেন বলে সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
তালেবানের রাজনৈতিক ব্যুরোর মুখপাত্র মুহাম্মদ নাঈম ওয়ারদাক মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ‘আজ বিকেলে মোল্লাহ বারাদারের নেতৃত্বে ইসলামী আমিরাত অব আফগানিস্তানের একটি উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদল কান্দাহার বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।’
বারাদারের গতিবিধি সম্পর্কে অবহিত তালেবান সূত্র এর আগে বলেছিল, ‘মোল্লাহ বারাদার বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ তালেবান নেতাদের সঙ্গে নিয়ে কাতারের রাজধানী দোহা থেকে আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন।’
২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর সামরিক অভিযানের মুখে তালেবান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তালেবানের উপ-প্রধান মোল্লাহ বারাদার বিগত ২০ বছর আফগানিস্তানে পা রাখেননি। কাবুল নিয়ন্ত্রণের পর অবশেষে তিনি দেশে ফিরলেন।
আরও পড়ুন>> কাবুলের মসনদে বসছেন কে এই বারাদার?
মোল্লাহ বারাদারের পরিচয় তিনি তালেবানের রাজনৈতিক প্রধান। বিশেষজ্ঞদের অনুমান সত্যি হলে বারাদারই হবেন পরবর্তী আফগান প্রেসিডেন্ট। আর যদি তাই হয় তাহলে এই প্রথমবারের মতো কোনো শীর্ষ পদে বসবেন এই তালেবান কমান্ডার।
তালেবান কাবুলে ঢোকার পর মোল্লাহ আব্দুল গনি বারাদার বলেছিলেন, ‘এখন এই মুহূর্তটি তালেবানের জন্য একটা পরীক্ষা। এই সময়ে আমরা একটি পরীক্ষার মুখোমুখি হচ্ছি। কারণ এখন দেশের জনগণের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের কাঁধে।’
দলের প্রধান না হয়েও তালেবানের রাজনৈতিক অবস্থানগত কৌশল কিংবা অভিমুখ বারাদারই ঠিক করেন। দেশে তো বটেই আন্তর্জাতিক মঞ্চেও তার অবস্থানই ছিল তালেবানের শেষ কথা। এ কারণেই তালেবানের প্রধান না হয়েও প্রধান মুখ তিনি।
২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসন তার সঙ্গে কথা বলে তালেবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করেছিল। তার আশ্বাসে আফগানিস্তান থেকে সেনা সরায় যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি পাকিস্তানের জেলে বন্দি বারাদারকে মুক্ত করার নির্দেশও দিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
এএস/জেএস