আফগানিস্তানের আটকে থাকা রিজার্ভ ছাড়ের পথ নেই: কাতার

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকসহ বাইরের বিভিন্ন দেশে আফগান সরকারের যে রিজার্ভ অর্থ আটকে আছে, তা ছাড় বা উদ্ধারের কোনো পথ আপাতত নেই বলে জানিয়েছে কাতার।
বুধবার কাতারের রাজধানী দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ আল থানি বলেন, ‘আমার মনে হয় না দ্রুত এই সমস্যাটি সমাধান হবে। আটকে থাকা রিজার্ভ ছাড়ের কোনো পথ আপাতত নেই।’
আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ১ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বেশির ভাগই রয়েছে ফেডারেল রিজার্ভসহ একাধিক বিদেশি ব্যাংকে। তাছাড়া বেশ ভালো পরিমাণ স্বর্ণও মজুত আছে ফেডারেল রিজার্ভে। তালেবান বাহিনী আফগানিস্তানের ক্ষমতা নেওয়ার পর সেই অর্থ ফ্রিজ করে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার।
তালেবান বাহিনীর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকার কারণে রিজার্ভের এই অর্থ আটকে আছে। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে অন্যান্য বিদেশি ব্যাংকে থাকা অর্থও তুলতে পারছে না তালেবান সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় যদিও মার্কিন সরকার ও মিত্র দেশগুলোকে আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছে, তবে ক্ষমতাসীন তালেবানগোষ্ঠীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা।
মার্কিন সরকারের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে আফগানিস্তানে বন্ধ রয়েছে বিদেশি সহায়তাও। আটকে আছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও জাতিসংঘের অর্থ।
নগদ অর্থের সংকট চলার কারণে আফগানিস্তানে খাবার, জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। সব মিলিয়ে আফগানিস্তানে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২০১৯ থেকে আফগানিস্তানে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও আন্তর্জাতিক পরাশক্তিসমূহের সঙ্গে তালেবানগোষ্ঠীর সমঝোতার চেষ্টা করে যাচ্ছে কাতার। বর্তমানে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যে বৈঠক করেছেন তালেবান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা, সেটিও অনুষ্ঠিত হয়েছে কাতারের রাজধানী দোহায়।
সেই ধারবাহিকতার জেরে সাংবাদিকরা দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বুধবার এ বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন, যার স্পষ্ট উত্তর দিলেন আল থানি।
এসএমডব্লিউ