বাংলাদেশে মেডিয়েশন আইন হওয়া প্রয়োজন : বিচারপতি গীতা মিত্তাল
![বাংলাদেশে মেডিয়েশন আইন হওয়া প্রয়োজন : বিচারপতি গীতা মিত্তাল](https://cdn.dhakapost.com/media/imgAll/BG/2023November/justice-20231126135508.jpg)
ভারতের জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তাল বলেছেন, বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কায় মেডিয়েশন আইন তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এখনো মেডিয়েশন আইন হয়নি। বাংলাদেশে আলাদা মেডিয়েশন আইন হওয়া জরুরি।
রোববার সুপ্রিম কোর্টের মেডিয়েশন সেন্টারে ৪০ ঘণ্টাব্যাপী মেডিয়েশন প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটি (বিমস) এ কর্মশালার আয়োজন করেছে।
বিচারপতি গীতা মিত্তাল বলেন, বাংলাদেশে মেডিয়েশন আইন নেই। বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়া, নেপাল, শ্রীলঙ্কায় মেডিয়েশন আইন আছে, মেডিয়েশন আইন তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশে মেডিয়েশন প্রচলিত আছে সালিশ আকারে। বিভিন্ন আইনে মেডিয়েশনের সুযোগ রাখা হয়েছে। কুরআনিক আইনেও মেডিয়েশন বা মধ্যস্থতার গুরুত্বের কথা বারবার বলা হয়েছে। অর্থ ঋণ আইনে গ্রাম আদালত আইনে মেডিয়েশনের সুযোগ রাখা হয়েছে। এজন্য মেডিয়েশনের জন্য আলাদা আইন হওয়া প্রয়োজন। তাহলে বিরোধ নিষ্পত্তিতে মেডিয়েশনের ইনফোর্স অ্যাবিলিটি থাকবে।
কমিউনিটি মেডিয়েশন বিষয়ে তিনি বলেন, মেডিয়েশন জগতে কমিউনিটি মেডিয়েশন ভালো ভূমিকা রাখতে পারে। বিচারক ও আইনজীবীরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে কমিউনিটি মেডিয়েশনকে এগিয়ে নিতে পারে। আইনজীবীরা ও লিগ্যাল এইড যদি সহযোগিতা না করে তাহলে কমিউনিটি মেডিয়েশন সম্ভব না। শ্রীলঙ্কা, ভারত, নেপাল ও সিঙ্গাপুর- এসব দেশ কমিউনিটি মেডিয়েশন সেন্টারের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তিতে সফলকাম হয়েছে। এক্ষেত্রে বিচারক, আইনজীবীরা মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশেও কমিউনিটি মেডিয়েশন সরকারি সহযোগিতায় বেগবান হবে। তিনি সুপ্রিম কোর্ট মেডিয়েশন সেন্টার ও কমিউনিটি মেডিয়েশন সেন্টারকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
এ সময় বিমসের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এন গোস্বামী উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় ৬৫ জন ডেলিগেট অংশগ্রহণ করেছে।
এমএইচডি/এমজে