সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুলের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন জমার সময় বাড়ল

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুই মাস সময় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। প্রতিবেদন দিতে আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। তিনি এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুই মাস সময় আবেদন করেন। শুনানি শেষে নতুন দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
এদিন ট্রাইব্যুনালে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর হাজিরের নির্দেশ ছিল। গত ১০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১ এর সদস্য অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে কারাগার থেকে সাবেক এই মন্ত্রীকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ।
প্রসিকিউশন জানায়, ২০২১ সালে তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে একটি কর্মসূচি ঘিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতে ইসলামের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। এমন অভিযোগে তদন্ত হয় ট্রাইব্যুনালে। তদন্ত চলাকালীন অবস্থায় অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হন উবায়দুল মোকতাদির। এর পরিপ্রেক্ষিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে উবায়দুলকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন তাকে আদালতে তোলা হয়। একাধিক হত্যা মামলা মাথায় নিয়ে বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সাবেক এমপি ছিলেন। তিনি ২০১১ সালে উপনির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বার এবং ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে পরাজিত করে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
এমআরআর/জেডএস