স্ত্রীকে মারধরের মামলায় এক মাসের অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন হিরো আলম

হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে সাবেক স্ত্রীর করা মামলায় এক মাসের অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) এ মামলায় ধার্য তারিখে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদের আদালতে হাজিরা দেন হিরো আলম।
এদিন তার স্থায়ী জামিন চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী শান্তা সাকসিনা। তবে আদালত স্থায়ী জামিন না দিয়ে আগামী ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। ওই দিন প্রতিবেদন দাখিলের আদেশও দিয়েছেন বিচারক।
গত ২৩ জুন হাতিরঝিল থানায় এ মামলা করেন রিয়া মনি। হিরো আলমের পাশাপাশি তার ‘সহযোগী’ আহসান হাবিব সেলিমকে এ মামলায় আসামি করা হয়।
মামলায় বলা হয়, মনোমালিন্য থেকে স্ত্রী রিয়া মনিকে তালাক দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন হিরো আলম। এরপর মীমাংসার কথা বলে গত ২১ জুন হাতিরঝিল এলাকার একটি বাসায় তাকে ডেকে নেন। ওই দিন রিয়া মনি তার পরিবার নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে হিরো আলমসহ অচেনা ১০ থেকে ১২ জন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। পরে রিয়া মনির হাতিরঝিলের বাসায় প্রবেশ করে তাকে কাঠের লাঠি দিয়ে মারধর করেন হিরো আলমসহ ১০-১২ জন। এ সময় রিয়া মনির গলায় থাকা দেড় ভরি ওজনের সোনার চেইন কৌশলে নিয়ে যান আসামিরা।
এ মামলায় তারা দুজনই জামিনে ছিলেন। কিন্তু ঠিকমতো আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় জামিনের শর্ত ভঙ্গের কারণে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গত ১২ নভেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান হিরো আলমের জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করেন। এরপর গত ১৫ নভেম্বর দুপুরে হাতিরঝিলের উলন এলাকায় হিরো আলমের অফিস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।
পরে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করলে ওইদিনই ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানা থেকে কারামুক্ত হন তিনি।
এনআর/এমজে