আবু সাঈদ হত্যা : দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য

জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) হাসিবুর রশীদসহ ৩০ আসামির বিরুদ্ধে আজ (রোববার) এই মামলার মূল তদন্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিনের সাক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর সদস্য অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এই সাক্ষ্য পেশ করা হয়। প্যানেলের অন্য সদস্য হলেন জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
মামলায় ২৫ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিচ্ছেন তদন্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন। তদন্ত চলাকালে তিনি কোথায় থেকে, কবে এবং কীভাবে আলামত জব্দ করেছেন, তার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরছেন। গত ১৮ ডিসেম্বর তার জবানবন্দি শুরু হয়েছিল। তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দি শেষে উপস্থিত ও পলাতক আসামিদের আইনজীবীরা তাকে জেরা করবেন।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে উপস্থিত রয়েছেন– প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, ফারুক আহাম্মদ, মঈনুল করিম, সাইমুম রেজা তালুকদার ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান।
এর আগে ১০ ডিসেম্বর তদন্ত সংস্থার রেকর্ড সংরক্ষণকারী এসআই মো. কামরুল হোসেন এবং বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা জবানবন্দি দেন। ৯ ডিসেম্বর ২২ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের বিস্তারিত বর্ণনার পাশাপাশি সমন্বয়কদের তুলে নিয়ে রাখার ‘সেফ হাউস’ এবং কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের ভূমিকা নিয়ে ট্রাইব্যুনালের কাছে অভিযোগ করেন।
মামলায় এ পর্যন্ত ২৫ জনের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে এবং মোট সাক্ষী রয়েছেন ৬২ জন। বর্তমানে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন এএসআই আমির হোসেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ। সাবেক ভিসিসহ বাকি ২৪ জন আসামি এখনো পলাতক।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে এই মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। ৩০ জুন ট্রাইব্যুনাল আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর ৬ আগস্ট ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন (চার্জ গঠন) করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। পলাতক আসামিদের পক্ষে আইনি লড়াইয়ের জন্য গত ২২ জুলাই সরকারি খরচে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এমআরআর/বিআরইউ