ঠিকানায় গিয়েও হদিস মেলেনি কাদেরসহ যুবলীগ-ছাত্রলীগের শীর্ষ ৭ নেতার

চব্বিশের জুলাই-আগস্টে হত্যাযজ্ঞের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পরোয়ানাভুক্ত কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-২ অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেলে বিষয়টি জানান প্রসিকিউশন। প্যানেলের অন্য সদস্য জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর সহিদুল ইসলাম। তিনি ট্রাইব্যুনালকে বলেন, এ মামলায় সাতজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। কিন্তু স্থায়ী-অস্থায়ী ঠিকানায় গিয়ে আসামিদের খুঁজে পাননি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এর মধ্যে ছয়জনের পূর্ণ প্রতিবেদন এলেও একজনের পাওয়া যায়নি। তবে সবার প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
অন্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালি আসিফ ইনান।
গত ১৮ ডিসেম্বর এই সাতজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। একই দিন সকালে ট্রাইব্যুনাল-২ এর রেজিস্ট্রারের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। পরে এ নিয়ে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।
শুনানিতে সাত আসামির আলাদা আলাদা অভিযোগ পড়ে শোনান তামিম। এর মধ্যে সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তিনটি অভিযোগ (কাউন্ট) আনা হয়। অর্থাৎ নির্দেশ, প্ররোচনা ও উসকানি। বাকিদেরও দায় তুলে ধরা হয়।
সুনির্দিষ্ট এসব অভিযোগ পড়া শেষে সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন এই প্রসিকিউটর। পরে এ সম্পর্কিত আইন পড়ে শোনান তাজুল ইসলাম। এরপর অভিযোগ আমলে নেওয়ার পাশাপাশি সবার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল। এছাড়া শুনানির জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করা হয়।
এমআরআর/এমএন