শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে পান করুন ৫ পানীয়
রক্তে থাকা চর্বিজাতীয় উপাদান হলো কোলেস্টেরল, যার মধ্যে ভালো ও মন্দ—উভয় দিক আছে। যখন খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) বেড়ে যায়, তখন তা রক্তনালীতে রক্তপ্রবাহকে বাধা দেয়। এর ফলে শারীরিক নানা সমস্যার পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
চিকিৎসকেরা বলছেন, কাজের চাপ, সম্পর্কের চাপ, অনিদ্রা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, এবং দীর্ঘ সময় বসে কাজ করার কারণেই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না, ফলে হার্টের রোগের ঝুঁকি বাড়ছে।
তবে, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কয়েকটি স্বাস্থ্যকর পানীয় রাখলেই খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এতে রক্তপ্রবাহ উন্নত হয় এবং কোনো জটিল নিয়ম ছাড়াই হার্টের রোগের ঝুঁকি কমে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসকেরা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যে ৫টি স্বাস্থ্যকর পানীয় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন, তা নিচে আলোচনা করা হলো:
গ্রিন টি : গ্রিন টি-তে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট (ফ্ল্যাভোনয়েডস) খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমাতে সাহায্য করে। এটি শরীরের প্রদাহ কমায় এবং রক্তনালীতে কোলেস্টেরলের জমাট বাঁধা (প্লাক) দূর করতে পারে। হৃৎপিণ্ডের যত্নে চিনি ছাড়া প্রতিদিন এক কাপ গ্রিন টি পান করা খুব কার্যকর।
বেদানার রস : বেদানার রসে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট খারাপ কোলেস্টেরলকে জারণ (Oxidation) হতে বাধা দেয়। জারিত এলডিএল ধমনীর ভেতরে প্লাক তৈরি করে। বেদানার রস এটি প্রতিরোধ করে। তবে যারা উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খান বা যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা আছে, তাদের বেদানার রস খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সয় মিল্ক (Soya Milk) : উদ্ভিজ্জ প্রোটিনযুক্ত সয় মিল্ক খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমাতে এবং একই সঙ্গে ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। নিয়মিত সয় মিল্ক পান করলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
টমেটোর রস : টমেটোর রসে লাইকোমিন নামে এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা কোষকে সুরক্ষা দেয় এবং হৃৎপিণ্ডের যত্ন নেয়। এটি শরীরের প্রদাহ কমায় ও রক্তনালীকে সুস্থ রাখে। নিয়মিত টমেটোর রস পান করলে এলডিএল নিয়ন্ত্রণে থাকে, এইচডিএল বাড়ে এবং হার্টের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
বিটের রস (Beetroot Juice) : বিটের রসে থাকা পলিফেনল এবং বেটানিন নামক যৌগ ধমনীর স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়, প্রদাহ কমায় এবং এলডিএল নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতেও সাহায্য করে। এতে ফ্যাট এবং সোডিয়ামের পরিমাণও কম।
এমএন
