জীবনে জয়ী হওয়ার উৎসাহ জোগাবে ‘বুয়েট স্মৃতিকথা’
অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশ হয়েছে কথাশিল্পী, কবি ও প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামছুজ্জামানের ‘বুয়েট স্মৃতিকথা’। বইটি প্রকাশ হয়েছে শ্রাবণ প্রকাশনী থেকে। এটি লেখকের অষ্টম বই। বইমেলার ৪৬৮ থেকে ৪৭০ নম্বরের শ্রাবণ প্রকাশনী স্টলে পাওয়া যাচ্ছে বইটি। ২৮৮ পৃষ্ঠার বইয়ের মূল্য ৫০০ টাকা। তবে ছাড়কৃত মূল্য ৩৭৫ টাকা।
লেখক ১৯৭৯ সালের এপ্রিল থেকে ১৯৮৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) অধ্যয়ন করেন। তিনি থাকতেন সোহরাওয়ার্দ্দী হলে। লেখকের সেই সময়ের লিখিত রোজনামচা (১৯৮১-৮৩), সংরক্ষিত বন্ধু-স্বজনের চিঠিপত্র ও ছবির ভিত্তিতে তেতাল্লিশ বছর আগের ঘটনা-কাহিনী আত্মজৈবনিক কথনে স্মৃতিকথায় ধরা হয়েছে। আর গ্রন্থটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বুয়েট স্মৃতিকথা’।
এই বইয়ে উঠে এসেছে দেশের সে সময়ের সমাজ-রাজনীতি-অর্থনীতির অস্থির অবস্থা। এছাড়া আরও আছে নিম্নবিত্তের সাধারণ স্তরের লেখকের কষ্টকর বেড়ে ওঠার এক সংগ্রামলদ্ধ জীবনের সুখ-দুঃখের বাস্তব গল্প। এখানে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের ঝঞ্ঝাটপূর্ণ আশির দশক বোঝাতে লেখক অকপটে নিজের অসম্পন্ন পরিবার, স্বজনদের স্বার্থপরতা, স্বজনহীন ঢাকায় বেড়ে ওঠা, টিউশনি পেশায় টানাপোড়ন, দেশের দেউলিয়া রাজনীতি, যাপিত জীবনের অনিশ্চয়তা, যৌবনের রঙিন ঘোর তুলে ধরেছেন। এক নিঃসঙ্গ ও কপর্দকহীন অদম্য মেধাবী ১৭ বছর তরুণের প্রকৌশলবিদ্যা পড়তে স্বজনহীন ঢাকায় আগমন এবং নিয়ত সংগ্রামমুখর জীবনের মাঝে শেরপা হয়ে উঠার গল্প বলা হয়েছে ‘বুয়েট স্মৃতিকথা’ গ্রন্থে। লেখক নিজের পোড়খাওয়া জীবন ও অর্জিত বিশ্বাসের ওপর ভর করে কালের সাক্ষী হয়েছেন এখানে।
মোহাম্মদ শামছুজ্জামান বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক পদ থেকে অবসর নিয়েছেন। পেশাগত ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি লিখতেন। অবসরে যাবার পর এই কাজে তার মগ্নতা বাড়ে। ইতোমধ্যে বুয়েট স্মৃতিকথাসহ তার সাতটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি পেশার পাশাপাশি বিগত ৩২ বছরে অনিয়মিতভাবে লিখেছেন। অবসরে যাবার পর কাব্যগ্রন্থ ‘ফেঁসোঘর’ বের হয়। তারপর বের হয় ‘বুয়েট স্মৃতিকথা’ নামের অষ্টম গ্রন্থ।
পিএসডি/আইএসএইচ