সাংবাদিক নাদিমের খুনিরা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি
প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেছেন, গোলাম রাব্বানি নাদিম মূলত সাংবাদিকতাই করতেন। যার ফলে তিনি আজ হত্যাকাণ্ডের শিকার, তার পরিবার এখন অসহায়। যে ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে খুনিরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন, তারা সবাই আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় রয়েছে। কিন্তু তারা মূলত স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে আওয়ামী লীগে স্থান দিয়েছেন, সেটা উন্মোচন করতে হবে। এমনকি এ ইউপি চেয়ারম্যানের পেছনের শক্তি কে, সেটাও বের করতে হবে।
শনিবার (১৭ জুন) প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) কর্তৃক সাংবাদিক নাদিম হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সাংবাদিক হত্যার বিচার আমরা পাচ্ছি না। বিশেষত, তদন্তকারী সংস্থার সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের রিপোর্ট ৯৮ বার পিছিয়েছে। দেশ যদি স্বাধীন হয়ে থাকে, তাহলে সাংবাদিকরা কী সে স্বাধীনতা পাচ্ছেন? আমাদের কোনো নিরাপত্তা নেই, বন্ধু নেই। নিজেদেরই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যেন ভবিষ্যতে কোনো সাংবাদিকের গায়ে আঁচড় না লাগে।
তথ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে প্রেস ক্লাব সভাপতি বলেন, নাদিমকে হত্যা করার পর আপনি কি তার পরিবারকে দেখতে গিয়েছিলেন? দুঃখ প্রকাশ করেছেন? করেন নি। আপনারা কেন নিশ্চুপ থাকবেন? সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আপনাদেরই দায়িত্ব। আমরা হুঁশিয়ারি দিচ্ছি নাদিম হত্যাকাণ্ডের যারা মদদদাতা, তাদের খুঁজে বের করুন, শাস্তি নিশ্চিত করুন। আমরা এসবের পুনরাবৃত্তি আর চাই না।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক নেতা কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিউজের সাবেক দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল, ডিউজের যুগ্ম-সম্পাদক আলম খায়রুল, কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য দুলাল খান, ডিউজের সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব, ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি নাসিমা আক্তার সোমা, ডিইউজের আইন সম্পাদক শাহীন আলী প্রমুখ।
ওএফএ/এফকে