সাংবাদিক নাদিম হত্যার ঘটনায় জবিসাসের নিন্দা
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমকে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি।
শুক্রবার (১৬ জুন) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহমুদুল হাসান তানভীর ও সাধারণ সম্পাদক মামুন শেখ এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান।
চেয়ারম্যানের অপকর্ম নিয়ে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশের জেরে বাংলা নিউজ টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি ও একাত্তর টিভির উপজেলা সংবাদদাতা গোলাম রাব্বানি নাদিমকে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে এ ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান তারা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিক নাদিমের হত্যাকাণ্ড ন্যক্কারজনক একটি ঘটনা। এমন ঘটনা স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে অন্তরায়। এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে মদদদাতা ও অংশ নেওয়া সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সাগর রুনি হত্যাকাণ্ডের মতো বিচার না হওয়ার সংস্কৃতি থেকে বাংলাদেশকে বের হয়ে আসতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দেশে মফস্বলের সাংবাদিকেরা সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সাংবাদিক নাদিম সত্য ঘটনা তুলে নিউজ করলেও চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা করেন। আদালত সেই মামলা খারিজ করে দিলে চেয়ারম্যান দমে যাননি। বরং সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মোটরসাইকেল থেকে টেনে-হিঁচড়ে নামিয়ে পিটিয়ে হত্যা করলেন। আমরা অবিলম্বে নাদিম হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, বুধবার (১৪ জুন) অফিসের কাজ শেষে রাত ১০টার দিকে মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন গোলাম রব্বানী নাদিম ও তার সহকর্মী আল মুজাহিদ বাবু। পথে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের পার্টহাটি মোড়ে পৌঁছালে স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যানের প্রত্যক্ষ মদদে পেছন থেকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে তাকে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর দেশীয় অস্ত্রধারী ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত তাকে মারধর করতে করতে টেনে-হিঁচড়ে অন্ধকার গলিতে নিয়ে যায় এবং তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ইট দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাত ১২টার দিকে চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে তিনি মারা যান।
এমএল/এসকেডি