কুবির সাংবাদিক মনোয়ারের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের দাবি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ইকবাল মনোয়ারের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন গণমাধ্যমকর্মীরা।
শনিবার (৫ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদ খান বলেন, আমরা আজকে মাঠে দাঁড়িয়েছি কারণ, ইকবাল মনোয়ারের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই, অবিলম্বে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে। নয়তো আমরা আরও বড় কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নামবো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর মোহাম্মদ জসিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক কাজ করেছেন।
কুবিসাসের সাবেক সভাপতি শফিউল্লাহ বলেন, কুবিতে তিন ধরনের অপরাধ করেছে প্রশাসন। একদিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছে, দ্বিতীয়ত সাংবাদিকের সংবাদ প্রচারে বাধা দিয়েছে আর ইকবালকে বহিষ্কারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মানা হয়নি। আমরা ইকবালের পক্ষে মাঠে নেমেছি, প্রশাসনে যদি অন্যায় চালাতে থাকে তাহলে আমরা তাদের টুঁটি চেপে ধরব।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি রবিউল আলম বলেন, উপাচার্য শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিই ক্ষুণ্ণ করেননি, তিনি ক্যাম্পাস সাংবাদিককের বিরুদ্ধেও দাঁড়িয়েছেন। আমার দাবি অবিলম্বে উপাচার্যকেই বিচারের আওতায় আনা হোক।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি মীর মোহাম্মদ জসীম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মানুন তুষার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি মো. রবিউল আলম, ঢাকা কলেজ সাংবাদিক সমিতির সাবেক সহ সভাপতি কেফায়েত শাকিল, সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও নাজমুস সাকিব, তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির সহসভাপতি আহমেদ ফেরদাউস খান, বুটেক্স সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো. মেহেদী হাসান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ শফিউল্লাহ, মো. জাহিদুল ইসলাম ও শাহাদাত বিপ্লব, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার স্টাফ রিপোর্ট জয়নাল আবেদীন শিশির প্রমুখ।
এনআই/এসএম