দুর্নীতির তথ্য অনুসন্ধান, চেয়ার তুলে সাংবাদিকদের মারধরের হুমকি

দুর্নীতির তথ্য অনুসন্ধানে যাওয়ায় সাভারে কয়েকজন সাংবাদিককে চেয়ার উঁচু করে মারধরের হুমকি ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সাভার উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সাভার মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরমান আলী ঘটনাটি নিয়ে একটি অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের সুগন্ধা হাউজিংয়ের ভেতরে উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- পেশকার মো. শফিক, উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম ও সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার সোহেল আহমেদ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে সাভারের হেমায়েতপুরের সুগন্ধা হাউজিংয়ের ভেতরে উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে দুর্নীতির তথ্য অনুসন্ধানে যান দেশ টিভির সাংবাদিক ইমন, বিজয় টিভির সাংবাদিক শরীফ শেখ, জাহিদুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন। এসময় কয়েকজন দালাল তাদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে সেটেলমেন্ট অফিসের পেশকার শফিক চেয়ার উঁচু করে সাংবাদিকদের মারধরের হুমকি দেন।
হুমকির শিকার দেশ টিভির সাংবাদিক ইমন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ঘুষ লেনদেনসহ বিভিন্ন দুর্নীতির খবর অনুসন্ধানে গতকাল উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে যাই। সেখানে পেশকারের কাছে বক্তব্য চাইলে তিনি আমারসহ উপস্থিত সাংবাদিকদের চেয়ার উঁচু করে মারধরের হুমকি দেন। এছাড়াও প্রায় ১৫-২০ জন দালাল চক্রের সদস্য আমাদের ক্যামেরা ভাঙচুর ও লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে।
জাহিদুল ইসলাম নামে আরেক সাংবাদিক বলেন, সাভার উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিস দুর্নীতির কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ ছিল। কিছুদিন আগে কার্যক্রম চালুর পর আবার দুর্নীতি শুরু হয়েছে। এমন খবর পেয়ে অনুসন্ধানে গেলে ওই অফিসের দালালরা আমাদের বাধা দেয়। পরে কর্মকর্তা শফিক, সাইফুল ইসলাম ও সোহেল আমাদের বিভিন্ন হুমকি দেন।
অভিযুক্ত পেশকার মো. শফিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ কিছু করিনি। আমি ওপেন হার্ট সার্জারি করা রোগী। আমি এজলাসে ছিলাম, তখন সাংবাদিকরা এসে আমাকে টানা-হেঁচড়া করেন।
সাভার মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাটি নিয়ে আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লোটন আচার্য্য/এআরবি