ডিজিটাল সাক্ষরতা বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি

ডিজিটাল নিরাপত্তা এখন কেবল প্রযুক্তির বিষয় নয়, এটি সরাসরি সাংবাদিকতা ও মানবাধিকার রক্ষার সঙ্গে জড়িত। এই বার্তা সামনে রেখে আজ (রোববার) নেত্রকোণায় অনুষ্ঠিত হলো সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের জন্য এক বিশেষ কর্মশালা।
স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতি (সাস) প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ভয়েস’ এর উদ্যোগে দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা হয়। যার শিরোনাম ছিল— “সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের জন্য ডিজিটাল অধিকারঃ নিরাপত্তা ও সুরক্ষা।”
স্থানীয় সংবাদপত্র, টেলিভিশন, অনলাইন মিডিয়া এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন।
ভয়েস-এর নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ বলেন, “ডিজিটাল অধিকার নিশ্চিত না হলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাও কার্যকর হয় না। অনলাইনে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে এবং সচেতন ডিজিটাল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ডিজিটাল সাক্ষরতা বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি।”
ভয়েস-এর উপ-পরিচালক, মুশাররাত মাহেরা, কর্মশালায় ডিজিটাল সুরক্ষার কৌশলপত্র উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, “মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হলে ডিজিটাল অধিকারও নিশ্চিত করতে হবে। সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা প্রতিনিয়ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে কাজ করেন, তাই তাঁদের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তার কৌশলগুলো মানা অত্যন্ত জরুরি।”
ডিজিটাল নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা বলেন, “যারা ডিজিটাল অধিকার সম্পর্কে সচেতন এবং যারা নন—এই দুই শ্রেণির মধ্যে যথেষ্ট ব্যবধান রয়েছে। বিশ্বাসযোগ্য উৎস ছাড়া তথ্য শেয়ার করা ডিজিটাল অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে বড় একটি প্রতিবন্ধকতা।”
কর্মশালায় আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), শক্তিশালী পাসওয়ার্ড, গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন, ভিপিএন, টর ব্রাউজার, এনক্রিপ্টেড বার্তা এবং ডেটা ব্যাকআপের মতো গুরুত্বপূর্ণ কৌশল সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
এমজে
