ডিজিটাল সহিংসতার অবসান ও সাংবাদিকদের সুরক্ষার দাবি

ডিজিটাল পরিসরে নারী ও কিশোরীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা রোধ এবং জুলাই আন্দোলনের পর সাংবাদিকদের নজিরবিহীন নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলাকে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অপরিহার্য শর্ত।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বুধবার ঢাকার লালমাটিয়ায় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন বক্তারা।
আলোচনার কেন্দ্রে ছিল বাংলাদেশে বিদ্যমান মানবাধিকার চ্যালেঞ্জ, বিশেষত নারী ও কিশোরীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং জুলাই আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে গণমাধ্যমের সার্বিক অবস্থা। এবারের কর্মসূচির প্রতিপাদ্য— সবার আগে নারী ও কিশোরীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সহিংসতার অবসান, যা আলোচনার মূল উপজীব্য ছিল ।
ভয়েসের উপপরিচালক মুশাররাত মাহেরা বলেন, ডিজিটাল সহিংসতার অবসান কেবল ন্যায্যতার দাবি নয়; এটি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও জনগণের তথ্য জানার অধিকার রক্ষার জন্যও অপরিহার্য।
উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীরা বাস্তবতা তুলে ধরে বলেন, জুলাইয়ের পর থেকে শারীরিক হামলা, গণপিটুনি, ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জাম জব্দ, যত্রতত্র আটক এবং সাইবার ও ফৌজদারি আইনের আওতায় বিচারিক হয়রানির শিকার হয়েছেন। নারী সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে যৌন হয়রানি, পরিবারের সদস্যদের লক্ষ্য করে আক্রমণ এবং চরিত্র হননের উদ্দেশ্যে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর ঘটনা বেশি দেখা গেছে, যা অনেককে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করেছে।
ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ বলেন, বর্তমানে গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা আনতে হলে ডিজিটাল সহিংসতার অবসান ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।
এমজে
