‘মিট দ্যা ইনফ্লুয়েন্সার’ শীর্ষক আলোচনা সভা

মার্কেটিং সমাধান দেওয়ার নিশ্চয়তা নিয়ে কাজ শুরু করেছে দেশীয় প্ল্যাটফর্ম ‘ইনফ্লুয়েন্সার হাব’। বর্তমানে ব্র্যান্ডগুলোকে তাদের নির্দিষ্ট ক্যাম্পেইন ও সেবাকেন্দ্রিক টার্গেট গ্রুপের কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। ইতোমধ্যেই তারা ২০টির বেশি কোম্পানির সঙ্গে কাজ করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কন্টেন্ট ক্রিয়েটর, তারকা ও মিডিয়া কর্মীদের নিয়ে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এজেন্সি ‘ইনফ্লুয়েন্সার হাব’ এর কার্যালয়ে ‘মিট দ্যা ইনফ্লুয়েন্সার’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন- খৈয়াম সানু সন্ধি, ডানা, রাফায়াত রাকিব, মোর্শেদ মিশু, রাজ, নিয়ন, রেহান রাসুল, সৈয়দ নাফিস, আর.জে নিতুল, ফাইজা, বিপ্রসহ আরও অনেকে।

ইনফ্লুয়েন্সার হাব শুরুর গল্প বলতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর জামশেদ-উল-ইসলাম বলেন, ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিংয়ে কন্টেন্টের মাধ্যমে ব্র্যান্ডিং করা হয় বলে দর্শকরা সহজে আকৃষ্ট হয়। ইনফ্লুয়েন্সার হাব এবং ইনফ্লুয়েন্সারের মধ্যে সম্পর্ক হলো, ইনফ্লুয়েন্সারদের ব্র্যান্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করা। আমাদের সৌভাগ্য যে, আমাদের দেশে বেশ কিছু ভালোমানের কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ও ইনফ্লুয়েন্সার আছেন। যাদের কন্টেন্টের মাধ্যমে দেশের মানুষ বিনোদনের পাশাপাশি অনেক ইতিবাচক আর প্রয়োজনীয় বিষয় জানতে পারছে, শিখতে পারছে। এই স্বছ, সুন্দর মানের কন্টেন্টের উপরই আমরা সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমাদের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইতিমধ্যে অফিশিয়ালি যুক্ত হয়েছেন প্রায় ৫০০ বেশি কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ও এক হাজারের বেশি ইনফ্লুয়েন্সার।
 
ইনফ্লুয়েন্সার হাবের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কোম্পানির ডিরেক্টর মঞ্জুর মোর্শেদ লিঙ্কন বলেন, আমাদের দেশে ভবিষ্যৎ ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং ইন্ডাস্ট্রির মাত্র শুরু। ইতোমধ্যেই আমরা দেশের প্রথম সারির ব্র্যান্ডগুলোকে সফলভাবে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং সলিউশন সেবা দিচ্ছি। করোনা মহামারির পূর্বে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশের বাজারে উপস্থিত থাকলেও লকডাউনে এর চাহিদা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা ইনফ্লুয়েন্সারদের কাছ থেকে ভালো বিষয়বস্তু চাই। বর্তমানে যারা ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিংয়ে সংযুক্ত আছি, তারা সবাই মিলে এই ইন্ডাস্ট্রি দাঁড় করাতে কঠোর পরিশ্রম করছি। 

আগত অতিথিরা ভিডিও বার্তায় ইনফ্লুয়েন্সার হাবের প্রতি তাদের ভালবাসা ও শুভকামনা জানান। এরপর আরো সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় সব ইনফ্লুয়েন্সার ও প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মিলে কেক কাটেন। 

কেক পর্ব শেষে চলার পথে পাশে থাকার এবং আন্তরিক সহযোগিতা করার কৃতজ্ঞতা স্মারক হিসেবে ইনফ্লুয়েন্সারদের হাতে ক্রেস্ট ও অক্সিজেন বন্ধু গাছ উপহার দেওয়া হয়।