খিলক্ষেতে মানবপাচারকারী চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মানবপাচারকারী চক্রের তিন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মামা ভাগিনা ট্রাভেলসের মালিক রাজু আহমেদ রাজ্জাক (৪৮), আমিনুল ইসলাম (২০) এবং মাতবর আলী (৪২)।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার (২ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে র্যাব-১ এর একটি দল রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ-২ এর ১০ নম্বর রোডে মামা ভাগিনা ট্রাভেলসের অফিসে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে।

এ সময় তাদের কাছ হতে ৬টি পাসপোর্ট, একটি সিপিইউ, একটি মনিটর, একটি কীবোর্ড, একটি মাউস, তিনটি এটিএম কার্ড, একটি চেক বই, দুটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, একটি ডায়েরি এবং চারটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (অপস্ অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার নোমান আহমদ জানান, বর্তমানে দেশে মানবপাচারের মতো ঘৃণ্যতম অপরাধ থেমে নেই। মানবপাচারকারী চক্রের টার্গেট দরিদ্র মানুষ। পাচারকারীরা বিদেশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সহজ-সরল মানুষকে ফাঁদে ফেলে নিয়ে যাচ্ছে অন্ধকার জগতে। পাচারকারীদের পাতা জালে জড়িয়ে অবৈধ পথে বিদেশ পাড়ি দিতে গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছে এসব মানুষ। যার অধিকাংশই নারী। এ সকল নারীদের বিদেশে লোভনীয় ও আকর্ষণীয় বিভিন্ন পেশায় চাকরির কথা বলা হলেও তাদের বিক্রি করে দেওয়া হয়। জোরপূর্বক সম্পৃক্ত করা হয় ডিজে পার্টি, দেহ ব্যবসাসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে।
তিনি বলেন, এই পর্যন্ত র্যাব-১ আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্রের বিদেশি নাগরিকসহ অসংখ্য মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। এ সকল মানবপাচারকারী চক্রের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১ গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে এবং সম্প্রতি রাজধানীসহ বেশ কিছু এলাকায় মানবপাচারকারী চক্রের তথ্য পাওয়া যায়।
‘এরই ধারাবাহিকতায় মানবপাচারে জড়িত অভিযোগে গতরাতে খিলক্ষেত নিকুঞ্জ এলাকার মামা ভাগিনা ট্রাভেলসের অফিসে অভিযান পরিচালনা করে তিন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। গ্রেপ্তার রাজু আহমেদ রাজ্জাক মামা ভাগিনা ট্রাভেলসের মালিক। তারা দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ লোকজনের কাছ থেকে পাসপোর্টসহ বিভিন্ন ডকুমেন্ট নিয়ে বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে থাকে। তারা বিদেশে পাঠানোর কথা বলে সাধারণ মানুষের লাখ লাখ টাকা নিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে অনেক লোককে বিদেশে না পাঠিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
জেইউ/এইচকে