বন্ধ রি-রোলিং মিলস চালুর দাবি

বন্ধ থাকা রি-রোলিং স্টিল মিলসগুলো চালুর দাবি জানিয়েছে রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট। একইসঙ্গে তারা চার দফা দাবি জানিয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনটি আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
তাদের অন্যান্য দাবি গুলো হচ্ছে- মিল বন্ধকালীন সময়ে শ্রমিকদের আইনানুগ মজুরি প্রদান; নিয়োগ ও পরিচয়পত্র প্রদানসহ সরকার ঘোষিত মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন করা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন- শ্যামপুর-কদমতলী, ফতুল্লা শিল্পাঞ্চলের অর্ধ শতাধিক রি-রোলিং কারখানা ব্যবসায়িক কারণে এখন বন্ধ রয়েছে। বন্ধ কারখানায় মজুরি না পাওয়ায় হাজার হাজার শ্রমিক পরিবার নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অথচ এই দক্ষকর্মীদের সরকার কোনো কাজে লাগাচ্ছে না। এতে জীবনের তাগিদে তারা অসৎ পথ অবলম্বন করছে। অন্যদিকে রি-রোলিং কারখানায় নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র না থাকায় শ্রমিকরা আইনের আশ্রয়ও নিতে পারছে না।
তারা আরও বলেন, রি-রোলিং কারখানার মালিকেরা কোনোরকম আইনের তোয়াক্কা করে না। কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরকে লিখিত অভিযোগ দিলেও তারা কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। কারখানাগুলোতে সরকার ঘোষিত মজুরি কাঠামোরও কোনো বাস্তবায়ন হয়নি। এ অবস্থায় সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ভূমিকা না নিলে এ অঞ্চলের রি-রোলিং কারখানার হাজার হাজার মানুষ স্থায়ীভাবে বেকার হয়ে পড়বে। কারখানাগুলো দ্রুত চালু করে বন্ধকালীন সময়ে শ্রমিকদের আইনানুগ মজুরি দেওয়ার দাবি জানান তারা।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ইমাম হোসেন খোকন, সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম খান বিপ্লব, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্টের শ্যামপুর-কদমতলী শিল্পাঞ্চলের সহ-সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা, ফতুল্লা শিল্পাঞ্চল শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী প্রমুখ।
এইচএন/ওএফ