রড-সিমেন্টের দাম বৃদ্ধি : কাজ বন্ধের হুঁশিয়ারি ঠিকাদার সমিতির

নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ার প্রতিবাদে এলজিইডি ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট করেছে এলজিইডি ঠিকাদার সমিতি। এ সময় নির্মাণসামগ্রীর দামের সঙ্গে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয়ের সমন্বয় না হলে চট্টগ্রামে সব ধরনের কাজ বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারি দেন এলজিইডি ঠিকাদার সমিতির নেতারা।
রোববার (১৩ মার্চ) অনুষ্ঠিত সমাবেশে নির্মাণসামগ্রীর দামের লাগাম টানতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
সমাবেশে এলজিইডি ঠিকাদার সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, এ সময়টা পুরোদমে কাজ করার মৌসুম হলেও বর্তমানে প্রকল্পের কাজ চলার হার ২৫ ভাগে নেমে এসেছে। দিন দিন নির্মাণসামগ্রীর দাম এভাবে বাড়তে থাকলে কাজ চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নির্মাণসামগ্রীর মূল্য ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেলে সেটি প্রকল্প ব্যয়ের সাথে সমন্বয় করা হয়। সেটি না হলে প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানান তারা।
সমাবেশে চট্টগ্রাম এলজিইডি ঠিকাদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান টিটু বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইট, বালি, সিমেন্ট ও রডের দাম বেড়েছে। একই সময় প্রায় ৩৫ শতাংশ বেড়েছে ইলেকট্রিক, হার্ডওয়্যার, সেনেটারিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম। দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির ফলে বেড়েছে শ্রমিকের দৈনিক মজুরিও। আগে একজনের মজুরি ছিল ৫০০ টাকা। বর্তমানে ৮০০ টাকা। এছাড়া টনপ্রতি ৫০ হাজার টাকার রড এখন ৮১ হাজার টাকা। আমদানি করা পাথরের টন ছিল ৩৪ হাজার টাকা। এখন ৫১ হাজার টাকা। এভাবে সব পণ্যের দাম বেড়েছে। কিন্তু এলজিইডির রেট রিসিডিউল করা হয়নি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঠিকাদার মহিউদ্দিন সুফল, আলী হোসেন, মহসিন হায়দার নজরুল ইসলাম, সালাউদ্দিন লিটন, সাইফুল ইসলাম, শওকত হোসেন, মো. ইলিয়াছ চৌধুরি, আবদুল্লাহ টিটু, জামশেদ চৌধুরি, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
পরে ঠিকাদাররা এলজিইডি ভবন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি নগরীর মুরাদপুর হয়ে আবার এলজিইডি ভবনে গিয়ে শেষ হয়।
কেএম/এইচকে