গাড়িচাপায় অন্তঃসত্ত্বা কুকুরের মৃত্যু, চালক-নিরাপত্তাকর্মীর নামে মামলা

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের বাসভবন (ডিসি হিল) থেকে বের হওয়া একটি পিকআপ ভ্যানের চাপায় অন্তঃসত্ত্বা কুকুরের মৃত্যুর ঘটনায় পিকআপচালক ও দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। আদালত কোতোয়ালি থানাকে অভিযোগটি সরাসরি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি জড়িতদের পরিচয় শনাক্ত করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে গ্রেপ্তার প্রতিবেদন দিতে পুলিশকে আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তফার আদালতে তোফায়েল আহমেদ নামে এক তরুণ মামলাটি করেন।
মামলায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ আইনের ৯৮ ধারা এবং পশু হত্যার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪২৮ ধারা যুক্ত করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৪ ডিসেম্বর রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে নন্দনকানন এলাকায় ডিসি হিলের মূল ফটকের সামনে একটি অন্তঃসত্ত্বা কুকুর বসে ছিল। তখন ভেতর থেকে একটি সাদা রঙের পিকআপ ভ্যান বের হতে গেটের কাছে আসে। মূল ফটক বন্ধ থাকায় নিরাপত্তাকর্মী ফটক খুলে দেন। এসময় তিনি কুকুরটিকে সরাতে কোনো ব্যবস্থা নেননি; গাড়িচালককেও থামাননি।
গাড়িটি কুকুরটিকে চাপা দিয়ে চলে গেলেও নিরাপত্তাকর্মী কোনো পদক্ষেপ নেননি। পিকআপচালকও চাপা দেওয়ার বিষয়টি বুঝেও গাড়ি চালিয়ে চলে যান। দুজনের কেউই কুকুরটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করেননি বলে অভিযোগে উল্লেখ আছে।
বাদীর আইনজীবী নাজনীন জেনি জানান, পিকআপচালক ও নিরাপত্তাকর্মীকে আসামি করা হলেও তাদের নাম উল্লেখ করা হয়নি। তদন্তেই তাদের পরিচয় উদ্ঘাটন সম্ভব হবে।
বাদী তোফায়েল আহম্মদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সিকিউরিটি গার্ড ও চালক চাইলে কুকুরটিকে বাঁচাতে পারতেন। না বাঁচিয়ে উল্টো গাড়িচাপা দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা কুকুরটিকে হত্যা করা হয়। তাদের যথাযথ শাস্তি চাই।
আরএমএন/এমএসএ