অধ্যক্ষ লাপাত্তা

গেন্ডারিয়ার মনিজা স্কুলের শিক্ষার্থীদের এসএসসি অনিশ্চিত

Dhaka Post Desk

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ মার্চ ২০২২, ০২:২৭ পিএম


গেন্ডারিয়ার মনিজা স্কুলের শিক্ষার্থীদের এসএসসি অনিশ্চিত

রাজধানীর গেন্ডারিয়ার মনিজা রহমান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা এসএসসির রেজিস্ট্রেশন করতে না পারায় তাদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার দাবি ও প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ লুৎফন্নাহারের পদত্যাগও দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা। 

রবিবার (২০ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানান তারা।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রহিমা বলেন, আমরা ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী। ক্লাস নাইনে আমাদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য সব টাকা নেওয়া হলেও আমাদের রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি। ফলে আমরা এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারব কি না জানি না। আমাদের দশ বছরের শিক্ষা জীবন হুমকির মুখে। এখন কী হবে না হবে আমরা জানি না। আমাদের ভবিষ্যৎ কী? 

আসফি নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের অন্য স্কুলের সব বন্ধুরা পরীক্ষা দিয়ে কলেজে উঠবে। আমরা স্কুলেই থেকে যাব। আমাদের শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে গেল। যে কোন মূল্যেই হোক আমাদের পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। 

100%

আতিয়া সুলতানা নামের এক অভিভাবক বলেন, শিক্ষার্থীদের নবম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশনের জন্য টাকা পয়সা সব নিলেও প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ লুৎফন্নাহার সেগুলো আত্মসাৎ করে এখন গা ঢাকা দিয়েছেন। রেজিস্ট্রেশন না করায় এসব শিক্ষার্থীদের এসএসসির ফর্ম ফিলাপও করা হয়নি। আমরা আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ শিক্ষা জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা ও হতাশায় ভুগছি৷ 

চায়না নামের এক অভিভাবক বলেন, এ অধ্যক্ষ এক সঙ্গে দুই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে আছেন। বোর্ড থেকে আমাদের বলা হয়েছে, তার পদত্যাগ না হলে এসব শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় বসতে পারবে না। আমাদের দাবি প্রিন্সিপাল শামসুন্নাহার পদত্যাগ করবে এবং আমাদের সন্তানদের পরীক্ষার নিশ্চয়তা দেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অধ্যক্ষ শামসুন্নাহার রেজিস্ট্রেশনের সব টাকা-পয়সা নিয়ে এখন ঢাকা দিয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে বেশ কয়েকবার অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি শুধু আশ্বাস দিয়েছেন, কোনো ধরনের সমাধান দেন নাই। এই ব্যাপারে আমরা গেন্ডারিয়া থানায় যোগাযোগ করা হলেও তারা আমাদের কোনো ধরনের সহায়তা করেননি।

এ শিক্ষার্থীরা এক পর্যায়ে প্রেস ক্লাবের সামনের সড়ক অবরোধ করে। ১৫ মিনিট ধরে রাস্তা অবরোধ করে রাখায় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়ক, পল্টন এবং মৎস্য ভবন এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ প্রশাসন এবং অভিভাবকদের হস্তক্ষেপে সড়ক থেকে উঠে এসে প্রেসক্লাবের সামনে পুনরায় অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ শামসুন্নাহারকে মোবাইলে কল করা হলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এমএইচএন/আইএসএইচ

Link copied