৫ দিনের মাথায় শাহজালালে ফের বোমা উদ্ধার

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালে মাটি খোঁড়ার সময় ২৫০ কেজি ওজনের আরও একটি জেনারেল পারপাস (জিপি) বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ধ্বংসের জন্য বিমানবাহিনীর বোমা ডিজপোজাল ইউনিট এটি নিয়ে গেছে। নির্মাণাধীন এ টার্মিনালে কাজ চলাকালীন এ পর্যন্ত তিনটি বোমা উদ্ধার হয়েছে।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে বোমাটি উদ্ধার করা হয় বলে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম খান নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কনস্ট্রাকশন সাইটে পাইলিংয়ের কাজ করার সময় আনুমানিক ১০ ফুট মাটির গভীর থেকে আরও একটি ২৫০ কেজি ওজনের বোমাসদৃশ্য বস্তু পাওয়া যায়। এর আগেও একই এলাকা থেকে একই ওজনের দুটি তাজা বোম্বা উদ্ধার করা হয়েছিল। পরে সেগুলো বিমানবাহিনীর বোমা ডিজপোজাল ইউনিট নিয়ে গিয়ে ধ্বংস করে।’
এ বিষয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কনস্ট্রাকশন সাইটে পাইলিংয়ের কাজ করার সময় সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ১০ ফুট মাটির নিচ থেকে আরও একটি ২৫০ কেজি ওজনের জেনারেল পারপাস (জিপি) বোমা সদৃশ বস্তু পাওয়া যায়। বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি 'বঙ্গবন্ধু'র প্রশিক্ষিত বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেটি নিষ্ক্রিয় করে। পরে বোমাটি ধ্বংস করতে সতর্কতার সঙ্গে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধারকৃত বোমাগুলো ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভূমিতে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কনস্ট্রাকশন সাইটে পাইলিংয়ের কাজ করার সময় ২৫০ কেজি ওজনের আরেকটি বোমা পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সেদিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ চালানোর সময় উদ্ধার হওয়া ২৫০ কেজি ওজনের বোমা তাজা ছিল। মাটির অনেক গভীরে থাকায় এটি বিস্ফোরিত হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালের কাজের সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট রয়েছে তাদের আমরা সতর্ক করে দিয়েছি যেন আবারও বোমা উদ্ধার করা হলে সেই জায়গাটি দ্রুত নিরাপত্তা বলয়ে আনা হয়। তারা যেন আগেভাগেই লোকজনকে সরিয়ে নেয়। এছাড়াও খনন কাজ করার সময় যেন শ্রমিকরা সাবধানতা অবলম্বন করে সেজন্য সব ধরণের সতর্কতামূলক উপদেশগুলো।’
৯ ডিসেম্বর বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ চালানোর সময় একই রকমের আরেকটি বোমা উদ্ধার করা হয়েছিল। বোমা দুটি নিষ্ক্রিয় করে নিয়ে যায় বিমানবাহিনীর বোমা ডিজপোজাল ইউনিট। পরে রসুলপুরে বিমানবাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জে বোম্বাগুলো ধ্বংস করা হয়।
এমএসি/এফআর