চট্টগ্রামের তিন পৌরসভায় ভোটগ্রহণ চলছে
চট্টগ্রামের পটিয়া, চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া পৌরসভায় ভোটগ্রহণ চলছে। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় শুরু হয়। টানা ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকালে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
চট্টগ্রামের তিন পৌরসভার মধ্যে পটিয়ায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। পটিয়ার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী ফ্রন্টের চার মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদিকে নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৩ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নয় জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জেলা নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনে ২২০ জন পুলিশ সদস্য, ৪০ জন বিজিবি, ২৭ জন র্যাব ও ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১০টি মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছে।
এদিকে, চন্দনাইশ পৌরসভা নির্বাচনে চার মেয়র, ৪৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও নয় জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ পৌরসভায় ২৮ হাজার ৯৯৭ জন ভোটার ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। চন্দনাইশে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নয় জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, তিন প্লাটুন বিজিবি, ছয়টি মোবাইল টিম, ছয়টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, ৪০০ পুলিশ ও ১৩৯ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
চন্দনাইশ পৌরসভা নির্বাচনে গাছবাড়িয়া নিত্যানন্দ ও বৈনিক পাড়া কেন্দ্রে কাউন্সিলর ও মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ককটেল বিস্ফোরণ, হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
অন্যদিকে সাতকানিয়া পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. কামরুল হাসান জানিয়েছেন, পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ জোবায়ের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে আজ শুধুমাত্র সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ৪৫ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে আট জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ পৌরসভায় মোট ভোটার ৩৭ হাজার ৫৫০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১৯ হাজার ৬৩১ জন এবং মহিলা ভোটার ১৭ হাজার ৯১৯ জন।
সকালে সাতকানিয়া দক্ষিণ ঢেমশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের প্রচুর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ভোট দিয়ে লতিফা আনসারী নামের একজন বলেন, ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পেরেছি।
এসএসএইচ