নগরে পুষ্টি কার্যক্রমে সমন্বয় জরুরি

পুষ্টিমান বজায় রাখতে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মত জীবনাচার এবং খাদ্যাভ্যাসের উপরও গুরুত্বারোপ করতে হবে। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি, বাজেট বরাদ্দ এবং কার্যক্রম বাস্তবায়ন জরুরি বলে মত দিয়েছেন আলোচকরা।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ আয়োজিত 'আরবান নিউট্রিশন : ইমার্জিং ইস্যুজ' শীর্ষক সেমিনারে আলোচকরা একথা বলেন।
বক্তারা বলেন, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে নগরে বিশেষ করে দরিদ্র বসতিতে পুষ্টি ও স্বাস্থ্য কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। যা মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। গর্ভবতী মায়ের যত্ন, প্রসবকালীন সেবা, মাতৃদুগ্ধ পান এবং শিশুর যত্ন এসব ক্ষেত্রে গত দেড় দশকে ধারাবাহিক উন্নতি লক্ষ্য করা যায়। তবে সবার মধ্যে পুষ্টি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সরকার, এফসিডিও এবং ইউএনডিপির সহযোগিতায় স্থানীয় সরকারের অধীনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প, গেইন এবং ব্র্যাক এর সহযোগিতায় এই সেমিনার আয়োজন করা হয়।
সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে সেই অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছে। এই আয়োজনে একটি সক্ষম জাতি গঠনে সমাজের সব স্তরে সবার জন্য পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং মাছ, মাংস, চাল, সবজিসহ অনেক ক্ষেত্রে বিশ্বে দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য স্থানে অবস্থান করছে। জনসাধারণের মধ্যে পুষ্টি সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে এবং সবার কাছে পুষ্টিকর খাদ্য পৌঁছানোর মতো সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক জুবাইদা নাসরীন বলেন, গ্রামাঞ্চলে পুষ্টি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সমন্বিত ব্যবস্থা চালু থাকলেও নগরে এর অভাব পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। এজন্য নগরে পুষ্টি কার্যক্রম পরিচালনার সঙ্গে জড়িত সব সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে হবে।
সেমিনারে বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. আহমেদুল কবির, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার মো. জোবাইদুর রহমান বাংলাদেশ তথা নগরে পুষ্টি কার্যক্রম বিষয়ক উপস্থাপনা তুলে ধরেন। পাশাপাশি অসংক্রামক রোগ, পুষ্টি ও বাজার ব্যবস্থা, পুষ্টি ও সুশাসন এবং হেলদি সিটি নিয়ে তাদের মতামত দেন।
এএসএস/জেডএস