২৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয়, ৪ মার্চ দেশে আসছে তৃতীয় ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কানাডার ডিহ্যাবিল্যান্ড থেকে ক্রয়কৃত নতুন তিনটি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজের দ্বিতীয়টি আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ও তৃতীয়টি ৪ মার্চ দেশে আসবে। এই উড়োজাহাজগুলো বহরে যুক্ত হওয়ার পর বিমান তার অভ্যন্তরীণ ও স্বল্প দূরত্বের আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রীদের আরো উন্নত ইন-ফ্লাইট সেবা প্রদান করতে সক্ষম হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ২৭ তারিখে প্রথম ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজটি বিমানের বহরে যুক্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ধানমন্ডি সেলস সেন্টারের বাণিজ্যিক সেবার উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।
উল্লেখ্য, বিমানের ধানমন্ডির সেলস সেন্টার থেকে যাত্রী ও জনসাধারণ বিমানের সকল গন্তব্যের টিকেট কেনার পাশাপাশি বিমান পোল্ট্রি কমপ্লেক্সের নিজস্ব জায়গায় সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত মুরগির মাংস, ডিম, মাছ, মৌসুমী শাকসবজি, গরুর দুধ ও গরুর মাংস ক্রয় করতে পারবেন।
তিনি আরো বলেন, দেশের এভিয়েশন শিল্পের বিকাশে পথ প্রদর্শক বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিগত ৪৮ বছরে বিমান নানা বিবর্তনের মধ্য দিয়ে তার সময় অতিবাহিত করেছে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক আগ্রহ ও নির্দেশনায় বিমানকে নতুন করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। সেবার মান নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিমান তারুণ্যদীপ্ত বহরের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ অপারেশনের পরিধি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় বিমানের বহরে ইতোমধ্যে নতুন ১২টি বোয়িং ও একটি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ সহ সর্বমোট ১৩টি সর্বাধুনিক উড়োজাহাজ যুক্ত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেবার মান বৃদ্ধির মাধ্যমে গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জন করে বিমানকে যাত্রীদের আস্থা ও ভালবাসার ব্র্যান্ডে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে আমরা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। বিমানকে যাত্রী বান্ধব বিভিন্ন উদ্ভাবনী উদ্যোগের মাধ্যমে যাত্রীদের আরো কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা রাখেন- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদুল হাসান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোকাব্বির হোসেন, বিমান পরিচালনা পর্ষদের সদস্য খন্দকার আতিক-ই-রাব্বানী প্রমুখ।
বাংলাদেশ ও কানাডার সরকারের মধ্যে জি-টু-জি ভিত্তিতে কেনা তিনটি ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজের মধ্যে প্রথমটি গত ডিসেম্বরে বিমানের বহরে যুক্ত হয়েছে। গত ২৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন এই উড়োজাহাজের উদ্বোধন করেন।
নতুন ওই উড়োজাহাজের নাম রাখা হয়েছে ধ্রুবতারা। উড়োজাহাজটি উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা আমাদের পার্শবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে একটি সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই। আজকে যে বিমানটি উদ্বোধন করতে যাচ্ছি তার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের পাশাপাশি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গেও আমরা যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সক্ষম হব।’
চুক্তির আওতায় বাকি দুই উড়োজাহাজ ২৪ ফেব্রুয়ারি ও ৪ মার্চ দেশে আসছে। কানাডার প্রখ্যাত উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডি হ্যাভিল্যান্ড নির্মিত ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজটি পরিবেশবান্ধব এবং অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ।
দেশের ভেতরে ও বাইরে স্বল্প দূরত্বে ফ্লাইট পরিচালনার কথা মাথায় রেখে আমদানি করা হচ্ছে ৭৪ আসন বিশিষ্ট নতুন এই মডেলের উড়োজাহাজ। এ দুটি উড়োজাহাজ যুক্ত হলে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পাশাপাশি স্বল্প দূরত্বে দেশের বাইরেও গন্তব্য বাড়ানো হবে।
এআর/এসএইচআর/ওএফ