মন্ত্রিসভা থেকে ফেরত গেলো জাতীয় শিক্ষা মূল্যায়ন আইনের খসড়া

মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘জাতীয় শিক্ষা মূল্যায়ন কেন্দ্র আইন, ২০২২’ এর খসড়া উপস্থাপন করা হলেও তা ফেরত পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রিসভা বলছে, এ আইনের প্রয়োজন নেই।
সোমবার (৩০ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ খসড়া উপস্থাপন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এটা ছিল পরীক্ষার সিস্টেমগুলোর মধ্যে একটা সিমিলারটিতে নিয়ে আসার জন্য। আমাদের বিভিন্ন রকমের শিক্ষা পদ্ধতি আছে। এগুলোর যেন এসেসম্যান্ট পদ্ধতি খুবই স্বচ্ছ থাকে, সিমিলারটি থাকে, যাতে পরবর্তীতে উচ্চ শিক্ষায় কোনো অসুবিধা না হয়, সে জন্য এ আইনটি আনার প্রস্তাব করা হয়েছিল।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে উনারা এ আইন নিয়ে আসছিলেন। তারা নতুন একটা কর্পোরেশন টাইপের একজন ডিজিকে দিয়ে কেন্দ্র করতে চাচ্ছেন। পরে ক্যাবিনেটে বিস্তারিত আলোচনার পরে এ জিনিসটাতে দ্বিমত পোষণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এটার জন্য আলাদা কোনো প্রতিষ্ঠান করার দরকার নেই। মন্ত্রিসভা বলছে যে, নতুন আইন করে নতুন আবার প্রতিষ্ঠান করার দরকার নেই। আপনারা নায়েম এবং এনসিটিবির যেটা আছে, এ ২টা আইন এবং কার্যক্রম সুপারভিশন করেন। কারণ একাডেমিক কাউন্সিল আইন হয়েছে ২০০৯ সালে। সেখানেও এ জাতীয় ইলিগেশন দেওয়া আছে। নতুন কোনো প্রতিষ্ঠান করার দরকার নেই, আইনও করার দরকার নেই। ওই সব আইন বা বিধি মোডিফিকেশন করে করা যায়, তাহলে এ প্রতিষ্ঠানগুলোর আন্ডারে একটা উইং করে তার মাধ্যমে কাজ-কর্ম করেন।
তিনি আরও বলেন, ন্যাশনাল লেভেলে যে প্রতিষ্ঠান আছে, সেখানে একটা ইউনিট করে প্রয়োজন হলে একজন ডিরেক্টরের আন্ডারে ১০-১২ জন কর্মকর্তা নিয়ে আরেকটা উইং করে দেন। আলাদা আইন করে আরেকটা প্রতিষ্ঠান করার প্রয়োজন নেই। এই পর্যবেক্ষণ দিয়ে ফেরত (আইনের খসড়া) গেছে। এতে উনারাও (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ) রাজি হয়েছে।
এসএইচআর/এসকেডি