যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার-নির্বাচন নিয়ে রাষ্ট্রদূতকে প্রশ্ন করেন
যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি, নির্বাচনসহ মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমকর্মীরা কেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে প্রশ্ন করেন না, তা জানতে চেয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার (১ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কার্যালয় থেকে পাঠানো এক ক্ষুদে বার্তায় সাংবাদিকদের কাছে এ প্রশ্ন রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. মোমেন বলেন, আপনারা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে জানতে চান যে, যুক্তরাষ্ট্রে কেন তারা বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ করতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ১ লাখ মার্কিন নাগরিক নিখোঁজ হচ্ছে। এমনকি শিশুরা তাদের বাবা-মার সঙ্গে দেখা করা থেকে বঞ্চিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করুন, বাংলাদেশের বিষয়ে নয়। আমাদের দেশ শাসন ও উন্নতিতে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র বাধ্য নয়।
মোমেন বলেন, যদি তারা (যুক্তরাষ্ট্র) গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চায়, তাহলে তারা কেন রাশিয়ান চ্যানেল আরটির সম্প্রচার বন্ধ রেখেছে। যদি তারা জবাবদিহিতা চায়, তাহলে মার্কিন পুলিশ যে প্রতি বছর কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্পানিকসহ হাজারো মানুষকে হত্যা করছে, সেজন্য কেন তাদের বিচার হচ্ছে না, তারা কেন জবাবদিহিতার আওতায় আসছে না?
সাংবাদিকদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যদি তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হয়, তাহলে সেখানকার তরুণ নাগরিকদের কেন তাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর বিশ্বাস নেই? কেন তারা ভোট দিতে যায় না? খুব কম মার্কিন তরুণই আছে, যারা ভোট দেয়। প্রতি নির্বাচনে কেন তাদের ভোট গণনা ২৫ শতাংশের মতো? এটা কি অংশীদারিত্বের ভোটের প্রতিনিধিত্ব করে?
মঙ্গলবার রাজধানীর প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে অংশ নেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে, মানবাধিকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় দেশটির পররাষ্ট্রনীতিতে ছাড় না দেওয়ার মানসিকতা, বাংলাদেশের নির্বাচন, র্যাবের নিষেধাজ্ঞা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়েও কথা বলেন পিটার হাস।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এসব বক্তব্যের পরদিনই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কার্যালয় থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।
এনআই/এসএম