ভার্চুয়াল মিটিংয়ে বাংলাদেশ অগ্রগামী : মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

Dhaka Post Desk

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ জুন ২০২২, ০৩:২২ পিএম


ভার্চুয়াল মিটিংয়ে বাংলাদেশ অগ্রগামী : মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

ভার্চুয়াল মিটিংয়ে বাংলাদেশ অগ্রগামী বলে দাবি করেছেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির সময় সর্বপ্রথম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল মিটিং শুরু করেন। পরবর্তীতে সারা বিশ্ব ও অন্যান্য দেশে তা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ এক্ষেত্রে পাইওনিয়ার (অগ্রগামী)। শুধু দেশের ভেতরে নয়, আন্তর্জাতিক সংস্থাতেও প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যোগদান করে বক্তব্য দিয়েছেন।

শনিবার (১৮ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং সহযোগিতা করেছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১৫০ জন প্রতিযোগীর মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

মোজাম্মেল হক বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে ছিল ২৯ বছর। এ সময়ে আপনার ইউনিয়নে, থানায় এবং জেলায় কী কাজ হয়েছে এবং আমাদের ২১ বছরে কী কাজ হয়েছে তা একটু হিসেব করে দেখবেন; তাহলেই বুঝতে পারবেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ওরা এ দেশকে একটা মিনি পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল। পাকিস্তান যেমন একটা ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্র, তেমনি বাংলাদেশকে তারা ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় তারা বেঁচে যান। ৭৫ এর খুনিরা ছোট রাসেলকেও রেহাই দেয়নি।

ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাকালে এক মিনিট মোবাইলে কথা বলতে ১০ টাকা দিতে হতো এবং যিনি কথা শুনতেন তাকেও ১০ টাকা দিতে হতো। আর এখন মোবাইলে কথা বলতে গেলে গড়ে ২৫ পয়সা খরচ হয়। ওরা অপটিক্যাল ফাইবার বিনা পয়সায় দিতে চেয়েছে কিন্তু বিএনপি-জামায়াত সরকার সেটা নেয়নি।

dhakapost

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আগে বাংলাদেশে বিদুৎবিহীন মানুষের সংখ্যা ছিল ৬০ শতাংশ। প্রযুক্তির কথা তো বাদই দিলাম। সে সময় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৫৬ লাখ। ঢাকার বাইরে কোনো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি ছিল না। তখন মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৩ কোটি। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ও নেতৃত্বে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের দক্ষ নেতৃত্বে ৪ হাজার ৫০০ ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারকে হাইস্পিড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির আওতায় আনতে পেরেছি। যে ইন্টারনেটের দাম ছিল ৭৮ হাজার টাকা পার এমবিপিএস, সেখানে প্রধানমন্ত্রী সেটি কমিয়ে এনেছেন মাত্র ৩০০ টাকায়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যৈষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি  বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খায়রুল আমিন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজাউল মাকছুদ জাহেদী প্রমুখ।

এমএইচএন/এসকেডি

Link copied